রেকর্ড বন্যার পর এবার ঝড়ের কবলে নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে দেশটির হাজার হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশ ঘূর্ণিঝড় ‘গ্যাব্রিয়েলের’ আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গেল সপ্তাহে দেশটির অকল্যান্ডের একটি অঞ্চল বন্যার কবলে পড়েছিল। খবর বিবিসি।

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড়ের আগে একটি গুদাম রক্ষায় বালির ব্যাগ ফেলা হচ্ছে

শনিবার রাতে ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল অস্ট্রেলিয়ার নরফোক দ্বীপে আঘাত হানে। এর ফলে নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করতে শুরু করেছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, অকল্যান্ড এবং নর্থল্যান্ডে ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার বেগে বাতাসের সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের সঙ্গে ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে শহরটিতে।

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার নরফোক দ্বীপে শনিবার রাতে 'গ্যাব্রিয়েল' তাণ্ডব চালিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কবলিত মানুষদের জন্য সেখানে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর যারা বাড়িতে আটকা পড়ে আছেন, তাদের জন্য আগামী তিন দিনের পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বন্যার কবল থেকে ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য হাজার হাজার বালুর ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। নরফোক দ্বীপটি নিউ ক্যালেডোনিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে মধ্যে মাত্র ৩৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। দুর্বল অবকাঠামো হওয়ায় বাড়িগুলো বন্যায় আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে।

এদিকে নিউজিল্যান্ডের বিমান সংস্থা ঝড় আসার আগেই বেশ কয়েকটি অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

জরুরী ব্যবস্থাপনা নরফোক আইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছগুলোকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুতের মতো পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধারে কিছুটা সময় লাগতে পারে।"

নিউজিল্যান্ডের মেটসার্ভিস আরও সতর্ক করে বলেছে, বাতাস আরও যথেষ্ট শক্তিশালী হতে পারে। এতে গাছ ও বিদ্যুতের লাইনের ক্ষতি করতে পারে। সেই সঙ্গে তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে আগামী দিনে আরও বন্যা এবং ভূমিধস হতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছেন, 'সারা দেশের মানুষের কাছে আমাদের প্রধান বার্তা হলো, দয়া করে তীব্র আবহাওয়া সতর্কতাকে গুরুত্ব সহকারে নিনি। ঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত আছেন কিনা তা নিশ্চিত করুন।'