তুরস্কে আবারও কম্পন, সিরিয়ায় চীনের জরুরি সহায়তা

সিরিয়ার ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে সরবরাহের দ্বিতীয় চালান পাঠিয়েছে চীন। চীনের রেড ক্রস সোসাইটি সিরিয়াকে সুতির তাঁবু, পারিবারিক কিট, জ্যাকেট এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের পাশাপাশি চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করছে। অপরদিকে কাহরামানমারাস প্রদেশে ৪.৭ মাত্রার আরও একটি কম্পন আঘাত হেনেছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ভূমিকম্পে খোলা আকাশের নীচে শীতে জবুথবু অসহায় মানুষ

খবরে বলা হচ্ছে, তুরস্ক এবং সিরিয়ার দুর্যোগ অঞ্চলে রওনা হয়নি এমন চীনা উদ্ধারকারী দলগুলোকে যাত্রা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে চায়না অ্যাসোসিয়েশন ফর ডিজাস্টার প্রিভেনশন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাতে অতিরিক্ত কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এই নির্দেশনা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঝুঁকি এড়ানোর বিষয়টিও গুরুত্ব দিচ্ছে চীন।

চীন ইতোমধ্যে তুরস্ক এবং সিরিয়াকে আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভূমিকম্পে দুই দেশে সোমবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। ৮২ সদস্যের চীনা উদ্ধারকারী একটি দল ইতোমধ্যে পৌঁছেছে।

গতকাল রোববার গভীর রাতে তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশে ৪.৭ মাত্রার আরও একটি কম্পন আঘাত হানে। এতে উদ্ধারকারীদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারীরা সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। ভবন থেকে লোকেরা আতঙ্কে বেরিয়ে আসছিল।

এক সপ্তাহ আগে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর থেকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে শত শত আফটারশক (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) হয়েছে। ১৭০ ঘণ্টা পরেও গাজিয়ানটেপে নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে৷ ওই নারীর নাম সিবেল কায়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, বেঁচে থাকা ব্যক্তিকে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাৎক্ষণিক। তারপর তাকে স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।

গাজিয়ানটেপ এবং হাতায় প্রদেশ থেকে এক সপ্তাহে ধ্বংসস্তূপ থেকে নারী-শিশুদের জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারীরা। এতে আরও মানুষ বেঁচে থাকার আশা জাগিয়েছে উদ্ধারকারীদের মনে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে জীবিত লোকদের খুঁজে পাওয়ার আশা আস্তে আস্তে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। উদ্ধাকারীরা ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।