চীনকে জানিয়ে বেলুনে গুলি, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

নজরদারি বেলুন নিয়ে সারাবিশ্বে এখন তুলকালাম কাণ্ড ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহভাজন চীনা নজরদারি বেলুন গুলি করে ভূপাতিত করার পর চীনা কর্তৃপক্ষ চরম ক্ষেপেছে। বেইজিং বেলুন গুলি করে নামানোকে ওয়াশিংটনের কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ বলে অভিহিত করেছে। তবে বেলুনে গুলি করার ব্যাপারে বেইজিংয়ের সাথে যোগাযোগ করা হয় বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

গুলি করার বিস্ফোরিত বেলুন

চীনের কথা উল্লেখ করে গতকাল রোববার মার্কিন সহ-প্রতিরক্ষা সহকারী সেক্রেটারি মেলিসা ডাল্টন সাংবাদিকদের বলেন, অতি উচ্চতার নজরদারি বেলুনে গুলি করার আগে চীনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন চীনের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেছেন।

খবরে বলা হচ্ছে, চীনের সাথে কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন পূর্ব উপকূলে চীনা বেলুনটিকে গুলি করে নামায় বিমানবাহিনীর সদস্যরা। প্রথম দিকে ওয়াশিংটন যোগাযোগ করে চীনের কোনো সাড়া পায়নি। যদিও প্রথম ঘটনাটি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সফরে বাগড়া দেয়। শেষ পর্যন্ত সফরটি বাতিল হয়ে যায়।

তবে চীন জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রতিরক্ষা প্রধানের সাথে ফোনে যোগাযোগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ ওয়াশিংটন বেলুনটিতে গুলি করে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন‘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং গুরুতর ভুল পদ্ধতি অনুসরণের কারণে দুই সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংলাপ ও মতবিনিময়ের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে। বেলুনে গুলি করে ওয়াশিংটন শক্তি প্রদর্শন করেছে, যার পরিণতি খারাপ হতে পারে।

গতকাল রোববার এক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন আকাশে ধরা পড়া চতুর্থ সন্দেহভাজন বস্তুটিকে মার্কিন ফাইটার জেটের মাধ্যমে ভূপাতিত করা হয়। এর পর যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, চীনের সাথে যোগাযোগ করেই বেলুনে গুলি করা হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, তারা নিশ্চিত প্রথম চীনা বেলুনটি গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের জন্য মার্কিন আকাশে অবস্থান করছিল। তবে পরবর্তী তিনটি বেলুন চীনের কিনা তা চিহ্নিত হয়নি। আর এগুলো ছিল ছোট এবং চীনা বেলুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।