আর্জেন্টিনা-মিশরের কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে চায় ভারত

মিশর এবং আর্জেন্টিনার কাছে তেজাস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ (এলসিএ) যুদ্ধবিমান বিক্রি করতে চায় ভারত। এ জন্য ওই দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। তেজাস বিমানটি ভারত দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে। দেশটি বিদেশি বাজারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি বাড়ানোর দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমস।

ভারতীয় তেজাস এয়ারক্র্যাফট

গতকাল মঙ্গলবার অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩ এয়ার প্রদর্শনীতে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের (এইচএএল) চেয়ারম্যান সিবি অনন্তকৃষ্ণান এ তথ্য জানিয়েছেন।

খবরে বলা হয়েছে, মিশরের ২০টি ও আর্জেন্টিনার লাগবে ১৫টি যুদ্ধবিমান। মিশর একটি স্থানীয় মহাকাশ বাস্তুতন্ত্র তৈরিতেও আগ্রহ দেখিয়েছে। আর্জেন্টাইন এয়ার ফোর্সের দুটি দল এইচএএল পরিদর্শন করেছে। ভারত দুই দেশকে এলসিএ এমকে-ওয়ানএ ভেরিয়েন্ট অফার করেছে।

গত সোমবার দ্বিবার্ষিক এয়ার শো উদ্বোধন করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি এলসিএকে দেশীয় অস্ত্র ব্যবস্থার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন বলে বর্ণনা করেছেন। গত ৮ থেকে ৯ বছরে প্রতিরক্ষা খাতে এটি রূপান্তর ঘটিয়েছে বলে মোদি আশা প্রকাশ করেন।

অনন্তকৃষ্ণান বলেন, মালয়েশিয়ার কাছে নতুন ফাইটার জেট বিক্রির প্রতিযোগিতায় এইচএএল অবশ্য কোরিয়ান বিমান নির্মাতা কোম্পানির কাছে পিছিয়ে রয়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরী গত সোমবার ইয়েলহাঙ্কা বিমানঘাঁটিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলসিএর প্রদর্শনীতে অংশ নেন। তিনি বলেন, ভারত বিমানের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চাইছে এবং বিমানবাহিনীও নতুন সংস্করণগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।

১৯৮৩ সালে সোভিয়েত-অরিজিন মিগ-২১ বিমানবাহিনীর বহরে যুক্ত করে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বিমানবাহিনী তার প্রথম এলসিএ স্কোয়াড্রন দুটি বহরে যুক্ত হয়। এইচএএল প্রতিবছর ১৬টি এলসিএ এমকে-১ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারে। ভারতীয় বিমানবাহিনী আইসিএর আগের ৪০টি ভ্যারিয়েন্ট বহরে যুক্ত করেছে।

ভারত ২০২৬ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মূল্যের প্রতিরক্ষা রপ্তানি অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। গত নভেম্বর মাসে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংস্থা কল্যাণী স্ট্র্যাটেজিক সিস্টেমস লিমিটেড ফিলিপাইনে আর্টিলারি বন্দুক সরবরাহ করার জন্য ১৫৫.৫ মিলিয়ন মূল্যের একটি রপ্তানি আদেশ পায়।