ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে ৭৩ অভিবাসীর মৃত্যু

উন্নত জীবনের আশায় সাগরপথে ‘মরণযাত্রা’ থামছেই না। ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৭৩ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবারের ওই নৌকাডুবির ঘটনায় মাত্র সাতজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতরা কোন দেশের নাগরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। খবর বিবিসি।

সাগরপথে ‘মরণযাত্রা’ থামছেই না

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বুধবার জানিয়েছে, লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে একটি নৌকা ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে সাগরে ভাসতে ভাসতে একসময় ডুবে যায়।

লিবিয়ার কোস্টগার্ড জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ত্রিপোলির ৭৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত উপকূলীয় শহর কাসর আলকায়ার থেকে নৌকাটি যাত্রা শুরু করেছিল। কাঠ ও রাবারের ছোট্ট নৌকাটিতে একশ জনের কাছাকাছি যাত্রী ছিল।

নৌকাডুবির খবর পেয়ে লিবিয়ার পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্ট সদস্যরা কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় উদ্ধার অভিযান চালায়। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনের লাশ ও জীবিত সাতজনকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া নিখোজ রয়েছে অন্তত ৭৩ জন।

আইওএম জানিয়েছে, নিখোঁজ ৭৩ জনের বেঁচে থাকার আশা নেই। আশংকা করা হচ্ছে, তাদের সবারই সলিল সমাধি হয়েছে। লাশের জন্য তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইওএম জানায়, নৌকাটি ইউরোপের দিকে যে রুটে যাচ্ছিল, সেটি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ‘বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ানক সমুদ্র পারাপার’।

ভূমধ্যসাগর দিয়ে বিপজ্জনক এই যাত্রায় গিয়ে চলতি বছরের দেড় মাসেই ১৩০ জনের বেশি লোক মারা গেছে।

আইওএমের কর্মকর্তা সাফা মেহেলি জানিয়েছেন, ২০২২ সালে ভূমধ্যসাগরে ডুবে ১৪৫০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।

মেহেলি বলেন, এই পরিস্থিতি সহ্য করার মতো নয়। সাগরপথে বিপজ্জনক যাত্রা বন্ধ করতে নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া বাড়াতে হবে।

২০১১ সালে লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মোয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত ও হত্যার পর থেকেই লিবিয়া অবৈধ অভিবাসীদের সাগরপথে ইউরোপ যাত্রার রুটে পরিণত হয়েছে।