স্টোকস: ইংল্যান্ডের চাওয়ার কোনো সীমা নেই

ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল কী অর্জন করতে পারে; তার কোনও সীমা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির অধিনায়ক বেন স্টোকস। নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্টে ‘অত্যাশ্চর্য ফর্ম’ নিয়ে বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় সকাল সাত টায়) মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এর আগের ১০টি টেস্ট ম্যাচের নয়টি জিতেছে ইংলিশরা।

বেন স্টোকস

তবে দলটি যে স্টাইলে জিতেছে সেটাই নতুন করে ভাবাচ্ছে সবাইকে। বেন স্টোকস অধিনায়ক হওয়ার পর তো বদলে যাওয়া এক ইংল্যান্ডকে দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব।

তার আগে বিবিসি স্পোর্টকে স্টোকস বলেন, ‘আমাদের সবকিছু ভালোই গিয়েছে সর্বশেষ কয়েক মাসে। আমরা যে কাজগুলো করতে চেয়েছি তাই বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।

এরপর তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের খেলা দেখতে আসে এবং যারা বাড়িতে রাত জেগে খেলা দেখে আমরা তাদের বিনোদন দিতে চাই। আমি আশা করি এর আগে ১০ টেস্টের মত একই মানসিকতা নিয়ে মাউন্ট মঙ্গানুইতে মাঠে নামব আমরা।’

এর আগে গত বছরের জুনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে অবিশ্বাস্য রেকর্ড গড়েছিল তার নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড। শেষে দিনে হাতে কেবল ৫০ ওভার পেয়েও ২৯৯ রানের ‘অকল্পনীয়’ টার্গেটে ব্যাট করে জয় ছিনিয়ে আনে জনি বেয়ারস্টো, স্টোকসরা। এরপর এজবাস্টনে ভারতকে পরাজিত করতে ইংলিশ রেকর্ড ৩৭৮ রান তাড়া করে।

ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ইংল্যান্ড খেলে রাওয়ালপিন্ডিতে। দলটি দেশের বাইরেও সেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের ছাপ রাখে। প্রথম দিনেই স্কোরবোর্ডে তোলে ৫০৬-৪ রান! তিন ম্যাচের সিরিজ স্টোকসের দল জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে।

এরপর থেকেই প্রশ্নটা কমন হয়ে গেছে স্টোকসের কাছে। যে কোনো সিরিজ শুরুর আগেই তাকে উত্তর দিতে হয় তার দলের খেলার স্টাইল নিয়ে। কিউইদের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া টেস্টের আগেও তাই দিতে হলো একই উত্তর।

আক্রমণাত্মক স্টাইলকে কতদূর টেনে নিতে পারবে তার দল, জানতে চাইলে স্টোকস বলেন, ‘এটি একটি ভাল প্রশ্ন, তবে এর উত্তর আমি দিতে পারব না। কারণ এই দলটি কোথায় যেতে পারে কে জানে? তার কোনো ধারণা নেই। আসলে এই দলের চাওয়ারও কোনো সীমা নেই।’

৩১ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘আমি অত বেশি চিন্তা করি না, তবে আমরা যেভাবে খেলি তা টিকিয়ে রাখতে চেস্টা করি। আপনি একটি টেস্টে যেভাবে চেষ্টা করুন না কেন, আপনি যদি আপনার ইচ্ছামত সামর্থ্য অনুযায়ী না খেলেন, তবে সম্ভবত আপনি শীর্ষে আসতে পারবেন না।’

এদিকে ২০০৮ সালে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর থেকে নিউজিল্যান্ডে একটিও টেস্ট জিততে পারেনি ইংল্যান্ড৷ সবশেষ সাফল্য ২০১৩ সালে। সেবার সিরিজি ড্র করে ফিরেছিল তারা। তারপর ২০১৮ এবং ২০১৯ উভয় সফরেই ১-০ তে হেরেছিল ইংলিশরা।