কুমিল্লার চতুর্থ নাকি সিলেটের প্রথম?

দেখতে দেখতে অন্তিম পর্যায়ে চলে এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের নবম আসর। গ্রুপ পর্ব, প্লে অফ শেষে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে মাঠে গড়াবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একে অন্যের মোকাবেলা করবে।

সন্ধ্যায় মাঠে গড়াবে ফাইনাল

বিপিএলের ইতিহাস বিবেচনায় সিলেটের চেয়ে ঢের এগিয়ে কুমিল্লা। আগের আট আসরের মধ্যে তিনবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে নাফিসা কামালের মালিকানাধীন ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটি। টুর্নামেন্টের সফলতা বিবেচনায় যৌথভাবে শীর্ষে আছে কুমিল্লা। বিপিএলে সমান সংখ্যকবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকার ফ্র‍্যাঞ্চাইজি।

সবশেষ আসরেও শিরোপা জেতে কুমিল্লা। ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে সেবার ফাইনালে টানটান উত্তেজনার পর ফরচুন বরিশালকে পরাজিত করে জায়ান্টরা। এবারও জাতীয় দলের বাইরে থাকা কায়েসের নেতৃত্বে খেলছে মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের দল।

এবারও ফাইনালে ফেভারিট কুমিল্লা। প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেটকে হারিয়ে সেরা দুইয়ে পা রাখে কায়েস বাহিনী। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচেও নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে কুমিল্লা। দলটিতে আছে লিটন কুমার দাস, সুনিল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, মঈন আলি, জনসন চার্লস, মোস্তাফিজুর রহমান, জাকের আলি অনিকদের মত দুর্দান্ত সব পারফর্মাররা। বলতে গেলে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলার মত সব রকম উপকরণই জমা আছে কুমিল্লার।

শক্তির বিচারে কুমিল্লার চেয়ে পিছিয়ে আছে প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠা সিলেট। তবে নেতৃত্বে মাশরাফি বিন মর্তুজা থাকায় আশা দেখছে সুরমা পাড়ের দলটি। টুর্নামেন্টের শুরুতে সিলেটকে গোনায় ধরেনি কেউ। দলটির মাঝারি মানের ক্রিকেটার, বেশি কোচিং সেটআপে মন ভরেনি বোদ্ধাদের। যদিও সবার ধারণা পাল্টে যেতেও বেশি সময় লাগেনি।

মাশরাফির অসাধারণ নেতৃত্বগুণে গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সিলেট। চূড়ায় থেকে পা রাখে প্লে অফে। দলটিতে প্রধান কান্ডারি বনে গেছেন দুই দেশি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। রান সংগ্রহের দিক থেকে ওপরের দিকে আছেন এই দুইজন। এছাড়া বিদেশি কোটায় খেলা রায়ান বার্ল, জর্জ লিন্ডে, থিসারা পেরেরারা জ্বলে উঠলে দিনটা খারাপ যেতে পারে কুমিল্লার।

বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। এখন পর্যন্ত চারবার ফাইনালে উঠে প্রতিবারই শিরোপা জিতেছেন এই পেসার। এবার পঞ্চমবারের মত শিরোপা জয়ের হাতছানি নড়াইল এক্সপ্রেসের সামনে।