ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মেডিকেল মিশন নিয়ে তুরস্কে জাপান

জাপান তার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিদেশি মেডিকেল মিশন পরিচালনা করছে তুরস্কে। জাপান সরকার প্রথমবারের মতো তুরস্কে টাইপ-২ হাসপাতাল স্থাপন করেছে। দেশটির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

এক শিশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত জাপানি মেডিকেল কর্মী

৭০ জন চিকিৎসা ও প্যারামেডিক্যাল জাপানি কর্মীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাকেশি ইশিহারা। তিনি আনাদোলুকে বলেন, অস্থায়ী হাসাপাতালে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রোগীরা স্থায়ী হাসপাতালের মতো রাত্রিযাপনও করতে পারবেন। মেডিকেল টিমের অর্ধেকই মহিলা। তাদের মধ্যে রয়েছে ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিকস এবং লজিস্টিক স্টাফ।

২৮টি দেশ ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ৩১টি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করেছে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর এসব হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।

টুইটারে শেয়ার করা মন্ত্রণালয়ের একটি গ্রাফ বলছে, বিদেশি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৫৭৪টি তাঁবু, ২৪৬টি জীবন্ত কন্টেইনার এবং দেড় হাজার মোবাইল হাইজিন ইউনিট তুরস্কে আনা হয়েছে।

বিপর্যস্ত অঞ্চলে বিতরণ করা সহায়তার মধ্যে রয়েছে প্রায় ১৫ লাখ কম্বল, ২ লাখ ১১ হাজার ৮৩৯টি স্লিপিং ব্যাগ, ৮০ হাজার ৮২৪টি শয্যা, ২৬ হাজার ৬২২টি জেনারেটর, ৫ হাজার ৯২৮ টন পোশাক, ৩ হাজার ২২২ টন স্বাস্থ্যকর খাবার। চিকিৎসা সামগ্রী তো রয়েছেই।

তুরস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে স্বেচ্ছায় কাজ করে যাচ্ছেন। হিউম্যানিটারিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে।

তাদের একজন আইস্যাতুর রাধিয়ান আনাদোলুকে বলেন, তিনি ইন্দোনেশিয়ান এবং ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করছেন। অন্তত আরও পাঁচ দিন তিনি স্বেচ্ছাসেবক হয়ে থাকতে চান।

ইস্তাম্বুল গেলিসিম ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস অ্যান্ড কমার্স বিভাগের শিক্ষার্থী হাইতিয়ান এস্পেরানসিয়া জোসেফ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে এবং তাদের মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দিতে কিলিসে স্বেচ্ছাসেবক হয়েছি।

ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী বেতুল দেদে বলেন, আমাদের আন্তর্জাতিক ছাত্ররা দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কে অধ্যয়ন করছে এবং সক্রিয়ভাবে আমাদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছে। কাস্তামোনুতে সাম্প্রতিক বন্যায় বিপর্যয়ের সময়ও তাদের সহায়তা আমরা পেয়েছিলাম।