আফ্রিকা নীতির রূপরেখা দেবেন ম্যাক্রন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আফ্রিকার চারটি দেশ সফরে যাচ্ছেন। দেশগুলো হলো- অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন ও ডিআর কঙ্গো। এই সফরের আগে আজ সোমবার ফ্রান্সের আফ্রিকা নীতির রূপরেখা দেবেন ম্যাক্রন। মহাদেশটির অনেক দেশে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। আরএফআই নিউজ।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন

বিস্তীর্ণ কঙ্গো নদীর অববাহিকা বরাবর বন সংরক্ষণের বিষয়ে ওয়ান ফরেস্ট সামিটে যোগ দিতে ম্যাক্রোন আগামী বুধবার সাবেক ফরাসি উপনিবেশ গ্যাবনে পৌঁছাবেন। নাইজার এবং চাদসহ এই অঞ্চলে ফ্রান্সের এখনও হাজার হাজার সৈন্য রয়েছে।

চার দেশ সফরের আগে ম্যাক্রনের এই ঘোষণা এলো। কারণ প্যারিস আফ্রিকায় ক্রমবর্ধমান চীনা এবং রাশিয়ান প্রভাব মোকাবেলা করতে চায়৷ ম্যাক্রন বলেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তিনি আফ্রিকা অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। গত জুলাই মাসে তিনি ক্যামেরুন, বেনিন এবং গিনি-বিসাউ সফর করেছিলেন।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, আফ্রিকায় ফ্রান্সের অগ্রাধিকার নীতি এবং ফ্রান্স, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার পদ্ধতি কী হবে তার রূপরেখা দেবেন ম্যাক্রন। প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে সত্যিকার নতুন সম্পর্ক গড়তে চাই।

খবরে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি আফ্রিকার মালি, বুরকিনা ফাসো এবং বৃহত্তর সাহেল অঞ্চলে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। সেখান থেকে ফরাসি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব এলাকায় বছরের পর বছর জিহাদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করতে ফরাসি সেনারা অবস্থান করছিল।

ফরাসি-ভাষী আফ্রিকান দেশগুলোতে রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান ভূমিকা নিয়ে প্যারিসে শঙ্কা বেড়েছে। পাশাপাশি এসব অঞ্চলে চীন-রাশিয়ার চাপও কয়েক বছর ধরে স্পষ্ট হয়েছে। এর জন্য ফ্রান্স এবং তার পশ্চিমা মিত্ররা রাশিয়ার ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারকে অভিযুক্ত করে আসছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্যারিস রাশিয়াকে সাবেক উপনিবেশগুলোতে ফরাসি স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ করেছে। সাহেলের বারখানে জিহাদি বিরোধী অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করার পরে আফ্রিকায় ফরাসি সামরিক উপস্থিতির ভবিষ্যত সম্পর্কে বিস্তারিত ঘোষণা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন ম্যাক্রন।