'পাকিস্তানে ১৮ ব্যক্তির ব্যাংকে ৪ হাজার বিলিয়ন রুপি'

পাকিস্তানের ১৮ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবে ৪ হাজার বিলিয়ন রুপি (১৫ দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির জামায়াতে ইসলামীর প্রধান সিরাজুল হক। এই তালিকায় দেশটির রাজনীতিবিদ এবং সেনাবাহিনীর অফিসারও রয়েছে বলে দাবি করেছেন এ নেতা। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

জামায়াতে ইসলামীর প্রধান সিরাজুল হক

২৭ ফেব্রুয়ারি, সোমবার ইসলামাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এসব ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধার করতে অসহায়। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতির উন্নতির জন্য বিচারক, জেনারেল, আমলা এবং রাজনীতিবিদদের ত্যাগ স্বীকার করা উচিত।

সিরাজুল হক বলেন, পাকিস্তানে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতি ৩৪.৩ শতাংশে পৌঁছেছিল। যদি ময়দা প্রতি কেজি ১৬০ রুপি করে বিক্রি হয়, তাহলে একজন কর্তা তার ১২ সদস্যের পরিবারের কীভাবে খাওয়াবেন বলে তিনি সরকারকে প্রশ্ন করেন।

শাসকরা জনগণের ওপর ৬৫০ বিলিয়ন রুপির বোঝা চাপানোর কথা ভাবছে। আগামী দিনগুলোতে সরকার মানুষের নিঃশ্বাসের ওপরও কর আরোপ করবে বলে তিনি কটাক্ষ করেন।

জেআই প্রধান বলেছেন, এক সময় পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) পার্টি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে তেহরাক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে। কিন্তু বর্তমানে পিটিআইয়ের মতো পিডিএম সরকারও দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রবীণ রাজনীতিকের এমন এক সময়ে সংবাদ সম্মেলন করছের, যখন পাকিস্তান তার ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকট পার করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেমে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্রোগ্রাম পুনরায় চালু করার জন্য দেশটির ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারের দাবি করছে।

পাকিস্তানের বর্তমানে ২২০ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ২২ শতাংশেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করেন।

সরকারি ব্যয় কমাতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ তার দলের ১২ জন মন্ত্রী ও ৩ জন প্রতিমন্ত্রী বিনা বেতনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এদিকে গেল সপ্তাহে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এক বক্তব্যে দাবি করেন যে, দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। অবশ্য এ জন্য তিনি দেশটির রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনী ও আমলাদের দায়ী করেছেন।