ঘরের মাঠে আধিপত্য ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ টাইগারদের

ইংল্যান্ডের সামনে এক ম্যাচ বাকী থাকতে সিরিজ জয়ের সুযোগ; অপরদিকে টানা সাতটি সিরিজ জয়ের ধারা টিকিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ইংলিশদের বিপক্ষে চলমান তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে টাইগাররা। এখান থেকে সিরিজ বাঁচাতে হলে আগামীকাল জিততে হবে তামিম ইকবালের দলকে।

সিরিজ বাঁচানো লড়াইয়ের আগে অনুশীলনে কোচ অধিনায়কের পরিকল্পনা

আগামীকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস চ্যানেল।

এদিকে, পিছিয়ে পড়েও যে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তা ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই দেখিয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। সেবারও তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে সফর করে ইংল্যান্ড। মিরপুরে প্রথম দেখায় এগিয়ে যায় ইংলিশরা। তবে স্বাগতিকরা সিরিজে ফেরে পরের ম্যাচেই। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ে সিরিজে সমতা করে বাংলাদেশ। যদিও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হেরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হারতে হয়েছিল মাশরাফির দলকে। তবে হারলেও ম্যাচে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ।

সেই সিরিজ থেকে তামিমবাহিনী অনুপ্রেরণা নিতে পারে। তাছাড়া সেই সিরিজের অনেকেই তো আছেন এই দলেও। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জয়ের জন্য কালকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের রানে ফেরা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রথম ম্যাচে মিডল অর্ডারে তাদের ব্যর্থতা দলের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল।

এছাড়া পিছিয়ে গিয়েও সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে টাইগারদের। সেজন্য তাকাতে হবে ৮ বছর আগে। ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে।

বাংলাদেশের সামনে সিরিজে ফিরতে অনুপ্রেরণা হতে পারে অনেক কিছুই। গত এক দশকে ঘরের মাঠে এক প্রকার অপ্রতিরোধ্যই বাংলাদেশ। এ সময়ে দলটি হেরেছে মাত্র দুটি সিরিজ। গতকাল প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতলেও তাদের জয়টি ছিল বর্তমান ইংল্যান্ডের ধাচের বাইরে গিয়ে; ইংলিশরা যেভাবে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে আসছিল, সেখানে তাদের খোলসে আটকে রাখাকে পজিটিভ হিসেবে নিতে পারে বাংলাদেশ। তাইজুল, মিরাজরা যে আগামীকাল আরও ভালো কিছু করার চেষ্টায় মাঠে নামবেন তা বলাই যায়।

বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে ২০৯ রানে অলআউট হলেও সেই রান নিয়ে ইংলিশদের ভালোই পরীক্ষা নেয় সাকিব, তাসকিনরা। যদিও ডেউইড মালান একাই দলকে জয় এনে দেন। ম্যাচ শেষে তিনি তার সেঞ্চুরির জন্য বলেছেন এখানে খেলার অভিজ্ঞতা তাকে সহায়তা করেছে। তার অভিজ্ঞতা এতটাই যে, তিনি গত দশ বছরে শুধু বাংলাদেশেই ম্যাচ খেলেছেন সব মিলিয়ে ৫০টিরও বেশি। তাই আগামীকাল বাংলাদেশের জন্য আবারও হুমকি হতে পারেন মালান। তাই তাকে নিয়ে আলাদা করে ভাবতে হবে তামিম ইকবালকে।

তবে বাংলাদেশকে জিততে বেশি মনযোগ দিতে হবে ব্যাটিংয়ে। টাইগাররা নিশ্চয়ই ঢাকার মাঠটিতে তাদের এক দশক ধরে আধিপত্য হারাতে চাইবে না। ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ এমনটা প্রত্যাশা সমর্থকদেরও।

বাংলাদেশ দল (সম্ভাব্য): তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান/এবাদত হোসেন।

ইংল্যান্ড দল (সম্ভাব্য): জেসন রয়, ফিল সল্ট, ডেউইড মালান, জেমস ভিন্স, জস বাটলার (অধিনায়ক), উইল জ্যাক, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উড।