পিএসজির বিপদ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন নেইমার

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ঘরের মাঠ পার্ক ডু প্রিন্সেসে প্রথম লেগ হেরে এমনিতেই বিপাকে আছে প্যারিসিয়ানরা। তাদের বিপদ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন নেইমার জুনিয়র।

নেইমার

আগামী বুধবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটা পিএসজি খেলবে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ অ্যালিয়েঞ্জ এরিনায়। ওই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই পিএসজির। জার্মান ক্লাবটির অবশ্য ড্র করলেই চলবে। ফরাসি জায়ান্টদের জিততে হবে অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে। কার্যত ব্যাকফুটে আছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

দ্বিতীয় ম্যাচের আগে বড় ধাক্কাই খেল পিএসজি। মিউনিখের মহারণে ফরাসি জায়ান্টরা পাচ্ছে না নেইমারকে। গোড়ালির চোটের কারণে আরও কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফরওয়ার্ডকে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে লিঁলের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। বিরতির আগে স্ট্রেচারে চড়ে মাঠ ছাড়তে হয় নেইমারকে।

অনিশ্চয়তার কালো মেঘ তখনই উঁকি দিয়েছিল। এরপর নেইমারের চোট নিয়ে কানাঘুষা চলছিল। অবশেষে সত্যিটা সামনে আনলেন পিএসজি প্রধান কোচ ক্রিস্টোফ গালতিয়ের। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে ডাচ কোচ জানালেন, বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে তাকে ছাড়াই মাঠে নামতে হবে পিএসজিকে।

আজ ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে নঁতের মুখোমুখি হবে পিএসজি। এই ম্যাচের আগে সম্মেলনে গালতিয়েল বলেছেন, ‘আমরা পরবর্তী দুই ম্যাচে (নেইমারকে) পাচ্ছি না। এটা আমাদের জন্য বড় ধাক্কা।’ চোটের কারণে বায়ার্নের বিপক্ষে প্রথম লেগে পিএসজির শুরুর একাদশে ছিলেন না দলের আরেক তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে।

দ্বিতীয়ার্ধে ফরাসি সেনসেশন মাঠে ফিরলেও দলের হার ঠেকাতে পারেননি। আশা করা হচ্ছে দ্বিতীয় লেগে শতভাগ ফিট এমবাপ্পেকে পাওয়া যাবে। আক্রমণভাগে তার সঙ্গী হিসেবে থাকছেন কিছুদিন আগে ফিফা বর্ষসেরার পুরস্কার জেতা লিওনেল মেসি। নেইমারের অনুপস্থিতিতে বায়ার্নের মাঠে এই যুগলকে অগ্নিপরীক্ষাই দিতে হবে।

কেবল নেইমার একা নন, চোটে ভুগছেন পিএসজি মিডফিল্ডার রেনাতো সানচেজ ও ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বে। আজ শনিবার নঁতের বিপক্ষের ম্যাচে দর্শক সারিতে থাকছেন তারা। বুধবারের মহারণে তারা খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। অস্বস্তি আছে বায়ার্ন মিউনিখেরও। নিষেধাজ্ঞার কারণে দ্বিতীয় লেগে তারা পাবে না ফর্মে থাকা বেনজামিন পাভার্ডকে। শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লাল কার্ড দেখেছিলেন এই ডিফেন্ডার।