তুরস্কে ভবন নির্মাণে চালু হচ্ছে ‘রিস্ক শিল্ড’ মডেল

ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ার বিশাল অঞ্চলের ভবন গুড়িয়ে গেছে। হাজার হাজার ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এসব জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণে রিস্ক শিল্ড নামে নতুন মডেল অনুসরণ করবে তুরস্ক। নতুন আবাসিক বাড়ি নির্মাণের এই মডেল ইতোমধ্যে চালু হয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ ঘোষণা দিয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান

গতকাল শুক্রবার ইস্তাম্বুলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেসহ পার্লামেন্টের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এরদোয়ান বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নতুন ঘর ও থাকার জায়গা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। স্থল ও সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার মোস্তফা সেন্টপ, যোগাযোগ পরিচালক ফাহরেটিন আলতুন এবং সরকারের মন্ত্রীরা। সেখানে এরদোয়ান ভবনগুলো রিস্ক শিল্ড মডেলে তৈরি করা হবে বলে উল্লেখ করেন। ভূমিকম্পের বিপদ এবং হুমকি বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন সম্পন্ন হলে ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে কতগুলো নতুন বাড়ি নির্মাণ করা হবে তা স্পষ্ট হবে। নতুন পরিকল্পনায় শহরগুলোর মুখ সমতল থেকে পাহাড়ের দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য প্রাচীন শহরগুলো নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করা, যা আমাদের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং দুর্যোগের বিরুদ্ধে শহরগুলোকে শক্তিশালী করবে।

এরদোয়ান বলেন, নতুন ভবনগুলো তিন বা চারতলার বেশি উঁচু হবে না। মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ২ লাখ ১৪ হাজার ভবন পুনরায় নির্মাণ করা হবে। শক্তিশালী কম্পন প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ১৪ মিলিয়ন বা এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে প্রভাবিত করেছে এবং গৃহহীন হয়েছে ৩৫ লাখ মানুষ। তারা এখন অন্য শহরে স্থানান্তরিত করেছে।

ক্ষতিগ্রস্তদের তাঁবু, কন্টেইনার, ডরমেটরি, গেস্টহাউস এবং হোটেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। অনেকেই আবার নিজেরাই অন্য শহরে ভাড়া নিয়েছে। শহর পুনর্গঠনের পর মানুষের মধ্যে শান্তি ফিরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।