ওয়াশিংটনে বৈঠক, স্কোলজকে বাইডেনের ধন্যবাদ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ। চীন রাশিয়ায় অস্ত্র পাঠাতে শুরু করতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যেই গতকাল শুক্রবার বাইডেন-স্কোলজ আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হলো। ইউক্রেনে সমর্থন অব্যাহত রাখায় স্কোলজকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাইডেন। ডয়েচে ভেলের খবর।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কো্লজ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক

বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা খুব ভাল অবস্থায় রয়েছে। তিনি মনে করেন, ট্রান্স-আটলান্টিক ঐক্য এবং ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখা দুদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ আমরা ইউক্রেনকে সহযোগিতা চালিয়ে যাব। শক্তিশালী এবং দৃঢ় নেতৃত্বের জন্য স্কোলজের প্রশংসা করেন বাইডেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ওয়াশিংটন ডিসিতে স্কোলজের প্রথম সফর এটি। বাইডেন জার্মানির সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি, জ্বালানির উৎস নির্ধারণ এবং রাশিয়ান গ্যাসের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার জন্য স্কোলজের সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানের মিলিত শক্তিতে ন্যাটো এখন আরও শক্তিশালী।

বৈঠকের আগে জার্মান চ্যান্সেলর ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারে বেইজিংকে মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টির আহ্বান জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার বুন্ডেস্ট্যাগে একটি বক্তৃতায় তিনি রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ না করার জন্য বেইজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানান।

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তার মুখপাত্র জন কিরবি ডিডব্লিউকে বলেন, চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। রাশিয়াকে চীন অস্ত্র দেবে- এমন কোনো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, চীন অস্ত্র সরবরাহ করলে যুদ্ধ দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। বেইজিং সম্পর্কে জার্মানি-যুক্তরাষ্ট্রের ভিন্ন অবস্থান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

খবরে বলা হচ্ছে, চীন জার্মানির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার। চীন অস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা বার্লিনের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় বেইজিংকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর।