কানাডায় চীনের হস্তক্ষেপ: চাপে ট্রুডো

কানাডা-চীন সুসম্পর্ক বিদ্যমান। তবে সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে আসা কিছু তথ্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে বিপাকে ফেলেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০১৯ ও ২০২১ সালের নির্বাচনে চীন ট্রুডোর পক্ষে হস্তক্ষেপ করেছিল। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো

কানাডায় ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাবকে স্বীকার করেছেন ট্রুডো। তবে নির্বাচনে চীনা হস্তক্ষেপের বিষয়টি মানতে নারাজ। অন্যদিকে কানাডার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে অটোয়ায় চীনের দূতাবাস।

খবরে বলা হচ্ছে, ২০১৬ সালের শুরুতে জাস্টিন ট্রুডো প্রথমবারের মতো কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর কয়েক মাস পরে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) সঙ্গে জড়িত দুই চীনা ব্যবসায়ী তার বাবার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ইলিয়ট ট্রুডো) নামে একটি ফাউন্ডেশনে মিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছিলেন।

সাম্প্রতিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই অনুদানের মাধ্যমে নির্বাচনে চীন হস্তক্ষেপ করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। ট্রুডোর লিবারেল পার্টির ক্ষমতা সংহত করতে সহায়তা করেছে। এসব তথ্য জানার পর কানাডার বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টিতে ক্ষোভ বেড়েছে। তারা এসবের জবাব চান ট্রুডোর কাছে। সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে

নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতারাও কানাডায় চীনের পদক্ষেপগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করার প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা পিয়েরে পোইলিভর অটোয়ায় সাংবাদিকদের বলেছেন, চীনের কর্তৃত্ববাদী সরকার ঠিক কী করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সচেতন ছিল কিনা, তা তারা জানতে চান।

কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (সিএসআইএস) কর্মকর্তারা গত বছর ট্রুডো ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের ব্রিফ করেছিল, ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী কমপক্ষে ১১ জন ফেডারেল প্রার্থীর পক্ষে অর্থায়নসহ প্রচারণা চালাচ্ছে চীন।

চীন-বিরোধী কানাডিয়ান রাজনীতিবিদদের প্রভাব খর্ব করতে ট্রুডোর কার্যালয়ে এজেন্ট স্থাপন করার অভিযোগও তুলেছিল সিএসআইএস।