বিস্ফোরণে নিহতদের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় মিলেছে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।

আহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়

নিহতরা হলেন- কদমরসুল জাহানাবাদ এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে শামছুল আলম (৫৬), ভাটিয়ারী ইউনিয়নের আবুল বাশার মিয়ার ছেলে ফরিদ (৩৬), নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার চিকিরঙ্গী লকরেটের ছেলে রতন লকরেট (৪৫), লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার মফিজুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (৪১), নোয়াখালী জেলার মাইজদী উপজেলার মৃত মকবুল আহমদের ছেলে আবদুল কাদের। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তার বয়স ৪৫।

আহতদের মধ্যে ২০ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকিরা সীতাকুণ্ড উপজেলার বিএসবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশের সহকারী উপ-পরির্দক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কদমরসুল এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্লান্টে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আশপাশের দুই বর্গকিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। এই বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলের এক কিলোমিটারের মধ্যে থাকা ইনফিনিয়া নামক একটি কারখানার গ্লাস ভেঙে গেছে। সেই কারখানার শ্রমিক রোকেয়া বেগম বলেন, আমি জানালার পাশে ছিলাম। হঠাৎ একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলাম, সাথে সাথে জানালার গ্লাসও ভেঙে গেল।

এদিকে বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে দুর্ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার টুকরা আধা কিলোমিটার দূরে উড়ে গিয়ে এক ব্যক্তির গায়ে পড়েছে, এতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তিনি দোকানে বসেছিলেন। তার নাম মো. শামসুল আলম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম। তিনি বলেন, নিহত পাঁচজনের মধ্যে মো. শামসুল আলম একজন। বাকি চারজনের মরদেহ প্ল্যান্টের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া বিস্ফোরণে প্ল্যান্টের দেয়াল ভেঙে পড়েছে। কামাল উদ্দিন নামে প্ল্যান্টের পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি বলেন, বিস্ফোরণের সময় টিন ও লোহার টুকরা উড়ে গিয়ে আশপাশে পড়েছে। এতে অনেকে আহত হন।