তিউনিসিয়া ছাড়ছেন আতঙ্কিত অভিবাসীরা

অভিবাসীদের জন্য আতঙ্কের জায়গা হয়ে উঠেছে তিউনিসিয়া। দেশটিতে অবস্থান করা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা দলে দলে তিউনিসিয়া ছাড়তে শুরু করেছে। গত মাসে প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ‘অনিয়মিত অভিবাসন মোকাবেলায় জরুরি পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর পর থেকেই অভিবাসীদের মনে আতঙ্ক শুরু হয়। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

তিউনিসিয়া ত্যাগ করছে সাব-সাহারান দেশগুলোর নাগরিকরা

সাইদের অভিযোগ, তিউনিসিয়ার জনসংখ্যার রূপরেখা পরিবর্তন করতে চক্রান্ত চলছে। বেশিরভাগ অপরাধের পিছনে উদ্বাস্তু এবং অভিবাসীরা জড়িত। হামলা-সংঘর্ষে তারা ইন্ধন যোগাচ্ছে। এমন মন্তব্যের পর অভিবাসীরা দেশ ত্যাগ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সাব-সাহারান আফ্রিকার সরকারগুলোর দূতাবাসে শত শত নাগরিককে ভিড় জমাতে দেখা গেছে। তারা দেশে ফিরতে চায়।

এ ঘটনায় আফ্রিকান ইউনিয়ন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রত্যাবাসন ফ্লাইটে চড়ে প্রায় ৩০০ জন মালি ও আইভরি কোস্টের নাগরিক দেশে ফিরে গেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মালির ১৩৫ নাগরিকের একটি দল গতকাল শনিবার গভীর রাতে বামাকোতে পৌঁছেছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাদিও কামারা এবং অভিবাসীবিষয়ক মন্ত্রী আলহামদু এগ ইলিয়েন তাদের স্বাগত জানান।

এক মন্ত্রী জানান, মালির সরকার বিমান ভাড়া করে নিজ জনগণকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। বিমানে ৯৭ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী ও ১৩ জন শিশু ছিল। গত বুধবার গিনির ৫০ নাগরিক প্রথম দল হিসেবে তিউনিসিয়া ছেড়ে গেছে।

একইভাবে ১৪৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ফ্লাইট শনিবার আইভরিকোস্টের রাজধানী আবিদজানে অবতরণ করে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্যাট্রিক আচি এবং বেশ কয়েকজন মন্ত্রী তাদের স্বাগত জানিয়েছেন। পরে তাদের একটি অভ্যর্থনা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের কাছে যাওয়ার আগে সেখানে তারা চিকিৎসার জন্য তিন দিন কাটাবে।

আজ রোববার সকালে একজন এএফপি ফটোগ্রাফার দেখেছেন, মালির নাগরিকরা তিউনিসে তাদের দূতাবাস থেকে বাসে করে বিমানবন্দরের দিকে চলে যাচ্ছে। সেখানে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে একটি চার্টার্ড বিমান। বাসে ওঠার আগে বাগরেসু সেগো বলেন, তিউনিসিয়ানরা আমাদের পছন্দ করে না, তাই আমরা চলে যেতে বাধ্য হচ্ছি।