সাদমানের প্রথম ডাবল

গতকালই সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া সাদমান ইসলাম। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে সেটাকে টেনে নিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পেলেন দ্বিশতক।

সাদমান ইসলাম

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বিসিএলের ফাইনালে আজ রোববার দ্বিতীয় দিনে বিসিবি মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে দারুণ এই কীর্তি গড়েন বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলের এই ব্যাটার। ডাবল সেঞ্চুরি পেতে সাদমানকে বল খেলতে হয়েছে ৩৯৪টি। যার মধ্যে ২৬টি বাউন্ডারি এবং একটি ওভার বাউন্ডারি ছিল।

জাতীয় দল থেকে বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়া সাদমান এবারের জাতীয় লিগে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ফাইনালে এসে করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। তবে দুইশ করেও যেন রানের ক্ষুধা মেটেনি সাদমানের। রান করার তাড়না ছিল বাহাতি এই ব্যাটারের মধ্যে। আড়াইশ রান হয়েও যাচ্ছিলো, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ফিরতে হয়েছে ২৪৬ রান করে। তিন ছক্কা আর ২৯ চারের বিনিময়ে ৪৪৮ বলের ইনিংসটি সাজান তিনি।

সাদমানের ডাবল শতকের দিনে সুবিধাজনক স্থানে তার দল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। পাঁচ উইকেটে ৫০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে দলটি। দলের হয়ে সাদমান ছাড়াও সেঞ্চুরি পেয়েছেন মার্শাল আইয়ুব। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার অপরাজিত ছিলেন ১২০ রান করে। এছাড়া ফিফটি পেয়েছেন অধিনায়ক ফজলে মাহমুদও (৬১ রান)। বিসিবি মধ্যাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পেয়েছেন হাসান মুরাদ। বাকী তিন বোলার নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

প্রথম ইনিংসের জবাব দিতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে বিবিসি  মধ্যাঞ্চল তুলেছে রান। আবদুল মজিদ ১৬ এবং সৌম্য সরকার ১৫ রান নিয়ে আগামীকাল আবার ব্যাট করতে নামবেন। শুভাগত হোম চৌধুরীর দল এখনও পিছিয়ে ৪৬৭ রানে।

এদিকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করতে পেছনে ফেলেছেন ২০১৮ সালে করা আগের সর্বোচ্চ ১৮৯ রানকে। সেবার তিনি ইনিংসটি খেলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটনের হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে।

উল্লেখ্য, ৭১টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা সাদমান এর আগে সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১১টি। তবে এবারই তার ৯ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকালেন।