নিয়াদি: আলহামদুলিল্লাহ, নিরাপদে মহাকাশে পৌঁছেছি

স্পেসএক্সের অন্য তিন নভোচারীসহ নিরাপদে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) পৌঁছে আমিরাতের সুলতান আল-নিয়াদি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। বলেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমরা নিরাপদেই মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছি। আগামী ছয় মাস মিশনের অংশ হিসেবে তিনি মহাকাশে থাকবেন। এ সময় তিনি রমজান ও ঈদ উৎযাপন করবেন। খবর দ্য ন্যাশনাল।

আল নিয়াদি

ছয় মাসের মিশন নিয়ে গত শুক্রবার মহাকাশ স্টেশন আইএসএসে পৌঁছেন স্পেসএক্সের চার নভোচারী। সেখানে পৌঁছে আল্লাহর প্রশংসা করে প্রথম বার্তা পাঠান আল-নিয়াদি।

এমবি আর স্পেস সেন্টারের একটি টুইটবার্তায় দেখা যায়, আমিরাতের নভোচারী সুলতান আল-নিয়াদি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা নিরাপদেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছি। এ জন্য বাবা-মা, পরিবার ও মোহাম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মহাকাশে এসে পুরোনো বন্ধুদের দেখতে পাচ্ছি। আমার এখানকার সময়গুলো খুবই আনন্দে কাটছে।

সহযাত্রীদের সাথে আল নিয়াদি

আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ‘ক্রু সিক্স’-এ করে আরব ইতিহাসের দীর্ঘতম মহাকাশ মিশনে যান আমিরাতের ৪১ বছর বয়সী নভোচারী আল-নিয়াদি। তার সহযাত্রীরা হলেন নাসার স্টিফেন বোয়েন ও ওয়াডি হোবার্গ এবং রাশিয়ার আন্দ্রে ফেডিয়ায়েভ। ছয়মাস মহাকাশে অবস্থানকালে তারা নাসার দুই শতাধিক গবেষণা পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

মহাকাশ যাত্রার কিছুদিন আগে সংবাদ সম্মেলনে আল নিয়াদি বলেন, আমি যে ছয়মাস মহাকাশে থাকব, এর মধ্যে পবিত্র রমজান মাস, ঈদ ইত্যাদি সুন্দর কিছু উৎসব অতিবাহিত হবে। রোজার ব্যাপারে তিনি জানান, যেহেতু আমি ভ্রমণকারীর আওতায় পড়ি, তাই আমার ওপর রোজা পালন আবশ্যক নয়। কিন্তু আমি সুযোগ পেলে সেখানে রোজা রাখব এবং ঈদগুলোও উৎযাপন করব। তবে এ সময় আমি আমার পরিবারকে খুবই মিস করব।

আল নিয়াদিই অবশ্য প্রথম মুসলিম নভোচারী নন। তার দেশেরই হাজ্জা আল মানসুরি ২০১৯ সালে মহাকাশে আট দিন কাটিয়ে আসেন। তবে প্রথম আরব ও মুসলিম নভোচারী হিসেবে ১৯৮৫ সালে মহাকাশ অভিযানে যান সৌদি যুবরাজ সুলতান বিন সালমান। এরপর ২০০৭ সালে মহাকাশ সফরে যান মালয়েশিয়ার নভোচারী শেখ মুসজাফর শাকর।