ডিম-মুরগির দাম বেঁধে দেওয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের

মুরগি ও ডিমের মূল্যবৃদ্ধির চাপে হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। নিম্ন ও মধ্যবিত্তের বহু মানুষ মুরগি ও ডিম কেনা ছেড়েই দিয়েছেন। তারপরও পোলট্রি ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মুরগি ও ডিমে তাদের লোকসান হচ্ছে। এজন্য তারা পণ্য দুটির দাম বেঁধে দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।

মুরগি ও ডিমের দাম বেঁধে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ডব্লিউপিএসএ

পোলট্রি ব্যবসায়ীদের সংগঠন ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশেন (ডব্লিউপিএসএ) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার চিকেন তৈরিতে গড়ে ১৫২ টাকা খরচ হচ্ছে। যদিও পোলট্রি খামারিরা পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মাংস ১২৯ টাকায় বিক্রি করছেন।

ডব্লিউপিএসএ নেতারা বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পোলট্রি ফিডের দাম ১২৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এ হিসেবে একেকটি ডিমের পেছনে ১১ টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। পাইকারি বাজারে খামারিরা প্রতি পিস ডিম ৮ টাকা ৮৫ পয়সা দরে বিক্রি করছেন, যা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম বলে তাদের দাবি।

এক বছরে পোলট্রি ফিডের দাম ৭১ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে তারা বলেন, এর পেছনে মধ্যস্বত্বভোগীদের যেমন হাত রয়েছে, তেমনি বাজার কারসাজিও রয়েছে। মুরগি পরিবহনের সময় চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়। বাজারে নানারকম অস্থিরতাও রয়েছে। সব মিলিয়ে পোলট্রি শিল্প ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউপিএসএর পক্ষে সভাপতি ও প্যারাগন গ্রুপের এমডি পোলট্রি খামারিদের বাঁচাতে মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন। এজন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মূল্য নির্ধারণী কমিটি গঠন এবং পোলট্রি উৎপাদনে ব্যয়ের পরিমাণ প্রতি তিনমাস অন্তর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করতে বলেছে সংগঠনটি।