ডলার সংকট: রপ্তানিলব্ধ বৈদেশিক মুদ্রা যথাসময়ে নগদায়নের উদ্যোগ

ডলারের ভালো দর পেতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রপ্তানিলব্ধ বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রিতে কালক্ষেপণ করেন। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানিলব্ধ আয়ের যথাসময়ে নগদায়ন নিশ্চিত করার প্রশ্নে কঠোর হচ্ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা যাতে রপ্তানি বাবদ আয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা আটকে না রাখে, তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রপ্তানিলব্ধ আয় নগদায়নে চার মাস সময় বেঁধে দেয়। তবে ডলারের ভালো দর পেতে রপ্তানিকারকদের একটি অংশ পণ্য রপ্তানি বাবদ আয়কৃত বৈদেশিক মুদ্রা নগদায়নে বিলম্ব করে থাকেন।

রপ্তানিলব্ধ আয় নগদায়নে শৃঙ্খলা আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবার সময়সীমা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক নোটিশে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রপ্তানিলব্ধ আয় আনতে বিলম্ব হলে ব্যাংকগুলো সে আয়কে টাকায় রূপান্তরের ক্ষেত্রে বিরাজমান বিনিময় হার অনুসরণ করবে। তবে প্রাপ্ত আয়ের অর্থ রপ্তানিকারককে পরিশোধের ক্ষেত্রে ব্যাংক যে সময় ওই রপ্তানিলব্ধ আয় নগদায়নের কথা ছিল, সে সময়ের বিনিময় হার অনুযায়ী হিসাব করবে।

বর্তমানে রপ্তানিকারকরা তাদের আয়কৃত প্রতি ডলারে ১০৪ টাকা পাচ্ছেন। ডলার সংকটের কারণে গত ১ মার্চ পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৩ বিলিয়নে (৩ হাজার ২৩০ কোটি) নেমে এসেছে। গত বছর একই দিনে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন (৪ হাজার ৫৯৯ কোটি) ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আজকের সিদ্ধান্ত রপ্তানি আয় নগদায়নের নির্ধারিত সময় ও সরেজমিন নগদায়নের তারিখের বিনিময় হারের মধ্যে নেতিবাচক পার্থক্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

নগদায়নের তারিখে চলমান হার অনুযায়ী টাকার হিসাবে (রপ্তানি) আয় এবং নির্ধারিত সময়ে চলা বিনিময় হার অনুযায়ী টাকার হিসাবের মধ্যকার পার্থক্যের হিসাব ব্যাংকগুলোকে একটি সাবসিডিয়ারি লেজারে রাখতে বলা হয়েছে। প্রতি মাসে সাবসিডিয়ারি লেজারে থাকা অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে ব্যাংকগুলো পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।