প্রিন্সেস কেটের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করায় ‘ডানপন্থীদের’ ক্ষোভ

প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটন লন্ডনের একটি মুসলিম সেন্টারে যাওয়ার পর সেখানকার এক সদস্য তার সঙ্গে হ্যান্ডশেক বা করমর্দন না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের ডানপন্থীরা। তবে বাকিংহাম প্যালেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রিন্সেস ওই সদস্যের আচরণে কিছুই মনে করেননি। খবর দ্য নিউ আরব।

প্রিন্সেস কেটের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করায় ডানপন্থীদের ক্ষোভ

৯ মার্চ, বৃহস্পতিবার কেট মিডলটন তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে লন্ডনের হেইস মুসলিম সেন্টার পরিদর্শন করেন। সে সময় ওই সেন্টারের একজন সদস্য কেটের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করার পরিবর্তে নিজের বুকে হাত রেখে প্রিন্সেসের প্রতি সম্মান জানান।   

ডানপন্থী ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্টরা মুসলিম ওই সদস্যের এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘অহংকারী’ বলে নিন্দা জানিয়েছে। তাদের এই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় অনুপ্রাণিত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন।

কেউ কেউ মুসলিম সদস্যটিকে ‘অভদ্র অকৃতজ্ঞ মুসলিম’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। অনেকেই বলেছেন, 'প্রিন্সেস মুসলিমদের সম্মান করে মাথায় হিজাব পরেছিলেন। তার এটি ছুড়ে ফেলে দেওয়া উচিত ছিল।'     

এদিকে ব্রিটিশ আইনজীবী নাজির আফজাল ডানপন্থীদের অহেতুক এই ক্ষোভের সমালোচনা করে এক টুইটে লেখেন, ‘অনেক মুসলিম পুরুষ নিজের পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য নারীদের স্পর্শ করেন না। এর পরিবর্তে তারা নিজেদের বুকে হাত রেখে নারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। ওই সদস্যটিও তাই করেছেন। এটা কোনো অসম্মান নয় বরং এটাই সবচেয়ে বড় সম্মান।' 

সৌজন্য প্রকাশের ক্ষেত্রে মুসলিম এবং পশ্চিমা সংস্কৃতির পার্থক্য সম্পর্কে রাজকীয় দম্পতিকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল কিনা এই বিষয়ে জানতে চেয়েছেন সাংবাদিক লরেন কিং। আর যদি না জানানো হয়, তাহলে কেন সেটি করা হয়েছিল সেই বিষয়টিও তিনি জানতে চেয়েছেন।

লরেন কিং বলেন, ‘এই সুযোগে বর্ণবাদী গোষ্ঠী মুসলিম সম্প্রদায়কে আক্রমণ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে।' 

উল্লেখ্য, গত মাসে তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করার জন্য রেকর্ড পরিমাণ তহবিল সংগ্রহ করেছে লন্ডনের হেইস মুসলিম সেন্টার। তারা ৩০ হাজার পাউন্ড অর্থ সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। তহবিল সংগ্রহকারী স্বেচ্ছাসেবকদের কার্যক্রম দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন কেট মিডলটন ও প্রিন্স উইলিয়াম।