সৌদি-ইরান সম্পর্ক: নেতানিয়াহুকে দুষলেন বিরোধীরা

সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ইসরায়েলের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য অভিযুক্ত করেছে বিরোধীরা। ১০ মার্চ, শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুটি দেশ নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে রাজি হওয়ার খবর জানিয়েছে।

নেতানিয়াহু

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ নেতানিয়াহুর সরকারকে ‘কূটনীতিকে অবহেলা’ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ককে ইসরায়েল সরকারের পররাষ্ট্র নীতির একটি শোচনীয় এবং বিপজ্জনক ব্যর্থতা হিসাবে বর্ণনা করেছেন তিনি।

লাপিদ জানিয়েছেন, নিজ দেশের বিচারব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নেতানিয়াহু অনেক বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছেন। যার পরিণতিতে কূটনৈতিক এই ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাকে।

তিনি নেতানিয়াহুকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আপনি যখন ইরানের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার পরিবর্তে পাগলাটে এক বিল নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকেন তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটে।' 

২০২০ এবং ২০২১ সালের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বেনি গ্যান্টজ। ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির এই নেতা ২০২১ এবং ২২ সালে ইসরায়েলের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সামনে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী এবং তার সরকার বিক্ষোভ সামলাতে ব্যস্ত।' 

২০২১ সালের জুন থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নাফতালি বেনেট। তিনি বলেছেন, ‘সৌদি-ইরানের মধ্যে এই সমঝোতা ইসরায়েলের কূটনৈতিক অবহেলা, সাধারণ দুর্বলতা এবং অভ্যন্তরীণ সংঘাতের সম্মিলিত ফলাফল।' 

এদিকে চীনের মধ্যস্থতায় ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন হচ্ছে তার জন্য লাপিদ এবং বেনেটের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দায়ী করেছেন নেতানিয়াহু।

সূত্র: দ্য নিউ আরব