অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে কম ম্যাচ খেলার আক্ষেপ তামিমের

বাংলাদেশ সবশেষ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডে খেলেছিল। সেই সিরিজে তামিম ইকবালের বয়স ছিল ২১ বছর। লর্ডস এবং ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। দুটি টেস্টেই হেরে যায় বাংলাদেশ, তবে ব্রিস্টলে একদিনের ম্যাচে একটি স্মরণীয় জয় পায় টাইগাররা। এরপর আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য ইংল্যান্ড সফর করেনি বাংলাদেশ।

তামিম ইকবাল

অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ায় টাইগারদের দ্বিপাক্ষিক সফর আরও আগের। ২০০৮ সালে তিন ম্যাচের ওডিআই সিরিজ খেলতে টাইগাররা সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়ায়। এরপর আর কখনও সুযোগ আসেনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ খেলার। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুযায়ী ২০২৭ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ায় দুটি টেস্টের জন্য সফর করার কথা বাংলাদেশের।

বাংলাদেশকে দলকে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার সুযোগ না দেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

সম্প্রতি এই ওপেনারের সাক্ষাৎকার নিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে আমরা এত ভালো করার পর আর ইংল্যান্ড সফর করিনি, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে।

ইংল্যান্ড সফরের কথা স্মরণ করে তামিম বলেন, ‘এটা এখন অনেক দূরে, ২০১০। কিন্তু সেই ইনিংসগুলো আমি সবসময় মনে রাখব। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়, বিশেষ করে আমাদের মতো দলের জন্য। স্মৃতিগুলো এমন কিছু যা খেলা ছেড়ে দিলেও একদিন মনে করব। এটি চিরকাল আমার হৃদয়ে থাকবে।’

তামিম ইকবাল

‘এ দুটি (দুই সেঞ্চুরি) সত্যিই আমার হৃদয়ের কাছাকাছি, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমাদের আরও বেশি আমন্ত্রণ জানাতে হবে। ইংল্যান্ডের উচিত আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া। ২০১০ সালে শেষবার আমরা সেখানে খেলেছিলাম, যা দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশ এখন এমন পর্যায়ে আছে যেখানে তাদের অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডে আরও বেশি সফর করা উচিত এবং আমি জানি না কেন এটি ঘটছে না।’

এদিকে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ৬ লাখেরও বেশি লোক রয়েছে যারা ২০২১ সালের আদমশুমারিতে বাংলাদেশি হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচগুলোতে যথেষ্ট বাংলাদেশি সমর্থকদের দেখা গেছে।

এটা মনে করে দিয়ে তামিম বলেন, ‘বাংলাদেশকে দ্বিপাক্ষিক সফরে আমন্ত্রণ জানানো হলে সেই সমর্থনের পুনরাবৃত্তি হবে। আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিতে পারি মাঠে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের থেকে বাংলাদেশি সমর্থক বেশি হবে। আপনি যদি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা মনে করেন, আমরা আসলে ইংলিশ সমর্থকদের সংখ্যা ছাড়িয়েছি। আমরা যে ফরম্যাটেই খেলি না কেন, যদি আমরা ইংল্যান্ডে খেলার জন্য আমন্ত্রণ পাই তবে এটি আমাদের ঘরের মাঠের মতো মনে হবে সমর্থন দেখে।’

চলতি বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের ইংল্যান্ড সফরের কথা থাকলেও প্রতিপক্ষ হবে আয়ারল্যান্ড। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে চেমসফোর্ডে তিনটি ওডিআই খেলার কথা রয়েছে। যদিও ফিক্সচার এখনও চূড়ান্ত হয়নি।