বিক্ষোভে জ্বলছে প্যারিস, আহত ৪৪১ পুলিশ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পেনশন সংস্কারের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের নবম দিনে প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় ৯ শতাধিক স্থানে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় মোট ৪৫৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৪১ জন আহত হয়েছেন। খবর রয়টার্স ও জিও নিউজ।

বিক্ষোভের ছবি

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড দারমানিন শুক্রবার সিনিউজ চ্যানেলের সাথে কথা বলার সময় এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ফ্রান্সে বৃহস্পতিবার প্রচুর বিক্ষোভ হয়। এর মধ্যে কিছু কিছু এলাকায়, বিশেষ করে বিক্ষোভকারীরা বেশ হিংসাত্মক হয়ে উঠেছিল।

দারমানিন দাবি করেন, ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করতে থাকা লাখ লাখ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া সত্যিই খুব কঠিন কাজ ছিল। কারণ বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।

তবে এত বিক্ষোভের পরও তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন দারমানিন। তিনি বলেন, আমি মনে করি না, এই সহিংস বিক্ষোভের কারণে তাদের দাবি মেনে আইনটি প্রত্যাহার করা উচিত। কারণ যদি সেটাই হয়, তাহলে এর অর্থ হবে, এখানে কোনো রাষ্ট্র নেই। আমরা স্বীকার করি, গণতান্ত্রিক ও সামাজিক বিতর্ককে আমাদের মেনে নেওয়া উচিত। কিন্তু এ ধরনের হিংসাত্মক বিতর্ক মেনে নেওয়া উচিত হবে না।

ফ্রান্সে গত দুই মাস ধরে অবসর নেওয়ার বয়সসীমা সংস্কারের ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে। এরই মধ্যে এ প্রস্তাবের পক্ষে ও বিপক্ষে বড় জনমতও তৈরি হয়েছে। সরকারপন্থীরা দাবি করছে, পেনশনের বয়সসীমা বাড়ালে দেশের সার্বিক কর্মসংস্থানে কোনো চাপ পড়বে না। সেই সাথে প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা শুরু হয়েছে, সেটিও রোধ করা যাবে। তবে কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়ন এবং জনগণের একটি অংশ সরকারের এ প্রস্তাবে একমত হয়নি।

এ বছরের শুরু থেকে বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। একাধিকবার ধর্মঘটও হয়েছে। তবে গত ১৬ মার্চ পেনশনের বয়সসীমা বর্ধিতকরণের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ১০ লাখ লোক বিক্ষোভে নেমেছে। এর মধ্যে রাজধানী প্যারিসেই নেমেছে এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ।