বাংলাদেশে মিথানল রপ্তানি করতে প্রস্তুত আসাম

চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে মিথানল রপ্তানি করতে প্রস্তুত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যম ইস্টমোজো এ খবর জানিয়েছে।

নামরূপের কারখানায় মিথানলের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে

আগামী ১৪ এপ্রিল শুক্রবার আসামের ডিব্রুগড় জেলার নামরূপে আসাম পেট্রোকেমিক্যালস লিমিটেডের (এপিএল) ৭০০ টিপিডি (টেম্পারেচার প্রোগ্রামড ডিসর্পশন) উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মিথানল কারখানা উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কারখানাটি উদ্বোধন করবেন।

এপিএলের মিথানল কারখানা উদ্বোধনকে সামনে রেখে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, আসাম রাজ্য সরকারের জন্য এপিএল একটি বড় বিনিয়োগ। গত কয়েক বছরে আমাদের প্রথম বড় বিনিয়োগ ছিল নুমিলাগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল)। এরপর আমরা এপিএলে বিনিয়োগ করেছি।

তিনি বলেন, নামরূপ কারখানা থেকে কয়েকটি রাজ্য এবং প্রতিবেশী কয়েকটি দেশে মিথানল রপ্তানি হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে আমরা বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে মিথানল রপ্তানি শুরু করব।

এ বিষয়ে এপিএলের এমডি রজনীশ গগৈ বলেন, কি পরিমাণ মিথানল রপ্তানি হবে তা কেবল চুক্তি স্বাক্ষরের পর বলা যাবে। তবে আমরা বাংলাদেশ থেকে মিথানলের জন্য পর্যাপ্ত চাহিদা পাচ্ছি।

এপিএল চেয়ারম্যান বিকুল চন্দ্র ডেকা বলেন, কোন দিন থেকে রপ্তানি শুরু হবে তা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর ওপর। আমরা এ বিষয়ে তার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, মেঘালয়ের ডাউকি হয়ে সড়কপথে বাংলাদেশের সিলেট জেলায় মিথানল পৌঁছবে। পরবর্তীতে আমরা বাংলাদেশে চালান পাঠাতে জলপথ ব্যবহার করব।

বাংলাদেশের কেমিক্যাল আমদানিকারক ও এপিএল কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ গ্রুপ এ সংক্রান্ত সম্ভাব্যতা খতিয়ে দেখেছে। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা জি-টু-জি ভিত্তিতে উভয় দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য ল্যাবের মাধ্যমে মিথানলের চালান সার্টিফিকেশনের বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছেন। একইসঙ্গে তারা দুই দেশের মধ্যে কেমিক্যাল রপ্তানি প্রক্রিয়া মসৃণ করতে পরবর্তীতে একটি ল্যাব টেস্টিং স্থাপনা প্রতিষ্ঠায় সম্মত হয়েছেন।

বিকুল ডেকা বলেন, নামরূপে এপিএলের কারখানাটিতে ৫০০ টিপিডি মিথানল উৎপাদনের সক্ষমতা সংযোজন সম্পন্ন হয়েছে। এরইমধ্যে পরীক্ষামূলক উৎপাদন চলছে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে ফিডস্টক হিসেবে ব্যবহার করে এ মিথানল উৎপাদন করা হচ্ছে। নভেম্বর নাগাদ মিথানলকে ফিডস্টক হিসেবে ব্যবহার করে আমরা ২০০ টিপিডি ফরমালিন প্রস্তুত শুরুর আশা করছি।