আদানিকে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ‘না’

ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ক সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস ভারতের আদানি গ্রুপকে নিয়ে তাদের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সরিয়ে নেওয়ার দাবি নাকচ করেছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত দৈনিকটি বলেছে, আমাদের প্রতিবেদনটি যথার্থ এবং এটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা এ প্রতিবেদনের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করছি। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।

মামুলি প্লাস্টিক ও ট্রেডিং ব্যবসা থেকে রীতিমতো জায়ান্টে রূপ নিয়েছে আদানি গ্রুপ

গত ২২ মার্চ ফিন্যান্সিয়াল টাইমস আদানি গ্রুপে বিভিন্ন রহস্যাবৃত প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ইন্ডিয়ান ডেটা রিভিলস আদানি গ্রুপস রিলায়েন্স অন অফশোর ফান্ডিং শীর্ষক প্রতিবেদনটি এখনও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের ওয়েবসাইটে পড়তে পাওয়া যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কর ফাঁকি ও বেনামে কোম্পানি খোলার সুবিধার জন্য পরিচিত বিভিন্ন অফশোর টেরিটরিতে নিবন্ধিত বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রুপে অর্থায়ন করেছে। ভারতের সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য তহবিলের জন্য অফশোর কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল ছিল।

গত ১০ এপ্রিল আদানি গ্রুপ প্রতিবেদনটি ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে চিঠি পাঠায়। ভারতীয় কোম্পানিটি ওই প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা, আদানি গ্রুপ ও আদানি পরিবারকে কালিমালিপ্ত করার সচেতন প্রয়াস’ বলে অভিহিত করে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে শুরুতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গৌতম আদানির কনগ্লোমারেটে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রায় অর্ধেক এসেছে তার পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অফশোর কোম্পানি থেকে। বিষয়টি ভারতীয় এ টাইকুনের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে অর্থায়নে এমন পুঁজিপ্রবাহের জোরালো ভূমিকা তুলে ধরছে যার উৎস যাচাই-বাছাই করা কঠিন।

এতে বলা হয়, ভারতে এফডিআই প্রবাহের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭-২০২২ সময়কালে আদানি পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফশোর কোম্পানিগুলো আদানি গ্রুপে কমপক্ষে ২৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে, যা একই সময়ে ভারতে আসা মোট ৫৭০ কোটি ডলার এফডিআইর ৪৬ শতাংশেরও বেশি।

আরও বলা হয়, অফশোর বিনিয়োগের ভূমিকা থেকে বুঝা যাচ্ছে আদানি কিভাবে অস্বচ্ছ উৎস থেকে আসা তহবিল ব্যবহার করে তার ট্রেডিং ও প্লাস্টিক প্রস্তুত ব্যবসাকে অবকাঠামো খাতের জায়ান্টে রূপান্তর করেছেন এবং নিজেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন এজেন্ডার সমান্তরালে দাঁড় করিয়েছেন।