বেঁকে বসেছে রাশিয়া, পোল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর ভিন্ন শঙ্কা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইউক্রেনের শস্য সরবরাহের জন্য করা চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকার করেছে রাশিয়া। দেশটির বক্তব্য, রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানির বাধা দূর না করা পর্যন্ত শস্য চুক্তির মেয়াদ নতুন করে বাড়ানো হবে না। আগামী ১৮ মে চুক্তির সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। খবর আল জাজিরা। 

ঐতিহাসিক শস্য রপ্তানি চুক্তিতে জাতিসংঘ মহাসচিব ও তুর্কি প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পদ্ধতিগত সমস্যা সমাধানে অগ্রগতি না হলে ১৮ মে তারিখের পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে খাদ্য শস্য রপ্তানি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর চেষ্টা করে লাভ হবে না। মস্কো মেয়াদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সায় দেবে না।

রুশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তা ও দেশগুলোকে খাদ্য সহায়তার বিষয়ে কেবল পশ্চিমা দেশগুলোর স্বার্থই রক্ষা করা হচ্ছে। কিয়েভ একচেটিয়া বাণিজ্যিক রপ্তানি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মস্কো খাদ্য কিংবা সার রপ্তানি করতে পারছে না পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে।

জাতিসংঘ এবং তুরস্ক গত বছরের জুলাইয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিল, যাতে যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট আরও খারাপ না হয়। এই চুক্তির পাশাপাশি রাশিয়াকে সহায়তা করতে তিন বছরের পৃথক একটি চুক্তিও করা হয়েছিল। তাতে রাশিয়ার খাদ্য ও সার রপ্তানিতে সহায়তা করার কথা বলা হয়। কিন্তু মস্কো তা পারছে না পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর শঙ্কা

পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন পরাজিত হলে চীন কিছুক্ষণ পরেই তাইওয়ানে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে আটলান্টিক কাউন্সিলের থিঙ্ক ট্যাঙ্কে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, আল্লাহ না করুন, যদি ইউক্রেনের পতন হয় কিংবা রাশিয়ার জয় হয়, তাহলে পরের দিন চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করতে পারে। তিনি ইউক্রেনের পরিস্থিতি ও তাইওয়ানের পরিস্থিতির মধ্যে প্রচুর মিল দেখতে পাচ্ছেন বলে জানান।