ইসরায়েলের গ্রেনেড হামলা, উত্তপ্ত লেবানন সীমান্ত

দক্ষিণ লেবাননের ইসরায়েল সীমান্তে দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লেবাননে বিক্ষোভকারীদের ওপর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গ্রেনেড ও বোমা নিক্ষেপ করার পর এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইসরায়েলি হামলায় কেউ নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। লেবাননের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সূত্র একটি মিডিয়া আউটলেটকে এ তথ্য জানিয়েছে।

লেবানন-ইসরায়েল সীমান্ত

গতকাল শুক্রবার সূত্রটি জানায়, কুদস দিবস উদযাপন উপলক্ষে দক্ষিণ লেবাননে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় চারটি স্টান গ্রেনেড ও ১১টি ধোঁয়া ও টিয়ার ক্যানিস্টার নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শোভাযাত্রাটি লেবানন ও ইসরায়েল সীমান্ত বেড়ার কাছে হাউলা মোড়ে পৌঁছালেই হামলাটি করে ইসরায়েল।

এই ঘটনা লেবানিজ ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। একই সময়ে লেবাননে জাতিসংঘের অন্তর্বর্তী বাহিনী ইউনিফিল উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে জরুরি যোগাযোগ শুরু করেছে। আল আকসায় ইসরায়েলি অভিযানের পর দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা যাতে না বাড়ে, সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে জাতিসংঘ।

বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশ বাহিনী পূর্ব জেরুজালেমের পুরোনো শহরের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালানোর কয়েক ঘণ্টা পর লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়েছিল। এর এক সপ্তাহ পরই সীমান্তের হামলাটি চালালো ইসরায়েল।

২০০৬ সালে লেবাননে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত লেবানিজ প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ হয়। এরপর এই হামলাটি ছিল সীমান্তে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ। ইসরায়েলি বাহিনী চারটি গ্রেনেড ছুড়েছিল। যা অনেক মানুষকে হত্যা করতে পারতো।

হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ শুক্রবার বলেন, আল আকসায় ইসরায়েলি আগ্রাসন কেন্দ্র করে গত ৬ এপ্রিল লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে গুলি বিনিময় ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তিনি ইসরায়েলকে সতর্ক করে বলেন, জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা, লেবানন বা সিরিয়াতে ইসরায়েলের যেকোনো হামলা যুদ্ধ পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে।