আপনি পড়ছেন

ভারতে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে একদল বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে সাবেক এমপি আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফ আহমেদকে হত্যা করেছে। শনিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের প্রজ্ঞারাজে (এলাহাবাদ) এ ঘটনা ঘটেছে। খবর বিবিসি, এএফপি।

india up atiq ahmedসমাজবাদী পার্টির জনসভায় অখিলেশ যাদব ও মুলায়ম সিং যাদবের সঙ্গে আতিক আহমেদ (পাগড়ী  পরিহিত)

সমাজবাদী পার্টি থেকে নির্বাচিত সাবেক লোকসভা সদস্য আতিক আহমেদ ২০১৯ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন। গতকাল রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কারাগার থেকে হাতকড়া পরিয়ে আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরাফকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল।

গাড়িতে ওঠানোর আগে পুলিশ পাহারায় আতিক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। এ সময় সাংবাদিক ছদ্মবেশে তিন বন্দুকধারী গুলি চালালে আতিক ও তার ভাই ঘটনাস্থলে মারা যান। লাইভ টিভিতে সম্প্রচারের সুবাদে এ ঘটনা দেখেছে ভারতের ও বাইরের কোটি কোটি মানুষ।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার জানান, প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সাংবাদিক বেশধারী তিন ব্যক্তি তাদের অ্যাপ্রোচ করে ও গুলি চালায়। হামলাকারীদের আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি টেলিভিশন ফুটেজে গুলিবর্ষণের পর হত্যাকারীদের ‘জয় শ্রীরাম’ ও অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী স্লোগান দিতে দেখা যায়। ঘটনার কোনো সাম্প্রদায়িক দিক নিয়ে তদন্ত হচ্ছে কিনা, পুলিশ তা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

আতিক আহমেদ ও তার ভাইয়ের নামে অনেকগুলো মামলা রয়েছে। হত্যার সময় দুজনই পুলিশ সদস্যদের দ্বারা বেষ্টিত ছিলেন। বন্দুকধারীদের একজন টেলিভিশন ক্যামেরা বহন করছিল। আরেকজনের হাতে স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের লোগোসম্বলিত মাইক্রোফোন ছিল।

এর আগে গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায়, আতিক আহমেদের ১৯-বছর বয়সী ছেলে ও তার এক বন্ধু পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ছিল বলে পুলিশ জানায়।

গত মাসে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন আতিক আহমেদ। পুলিশের দিক থেকে নিজের জীবনের ওপর হুমকি দেখছেন বলে তিনি পিটিশনে উল্লেখ করেন।

ভারতের সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এ হত্যাকাণ্ডে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিজেপি সরকার ত্রাসের মাধ্যমে রাজত্ব ধরে রাখতে চায় বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

এলাহাবাদ শহরের পশ্চিমাংশে ভীষণ দাপট ছিল আতিক আহমেদের। ১৯৮৯ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় নির্বাচিত হন। পরে আরও দুই মেয়াদে তিনি স্বতন্ত্র হিসেবেই একই আসন থেকে পুনঃনির্বাচিত হন। চতুর্থবার তিনি সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে তিনি একই দলের মনোনয়নে লোকসভা সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৯ সাল থেকে তিনি গুজরাটের কারাগারে আটক ছিলেন। গতমাসে একটি অপহরণ মামলার রায় ঘোষণাকে সামনে রেখে তাকে উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদে আনা হয়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.