হারের একাদশ নিয়ে হারল কলকাতা

আগের ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে হেরেও একই একাদশ নিয়ে রোববার মাঠে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেদিন হারলেও দুইশ ছাড়িয়েছিল নাইটদের ইনিংস। সম্ভবত সে কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় দলের টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তাদের সিদ্ধান্ত বিফলে গেছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটিকে।

রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশান

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) টস হেরে আগে ব্যাট করে কলকাতা। নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে দলটি। জবাবে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় মুম্বাই। এই জয়ে চার ম্যাচে দুই জয় নিয়ে টেবিলের আটে অবস্থান করছে মুম্বাই। অন্যদিকে পাঁচ ম্যাচ খেলে দুই জয়ে টেবিলের পাঁচে রয়েছে কলকাতা।

আগের ম্যাচে দুইশ করায় টসের সময় খুশির কথা জানিয়েছেন কলকাতার অধিনায়ক নিতিশ রানা। চার ম্যাচে ৯৪ রান করা রহমানুল্লাহ গুরবাজের ওপর ভরসা করেছিল দলটি। আস্থার প্রতিদান দিতে ব্যর্থ হয়েছেন আফগান ব্যাটার। সানরাইজার্সের বিপক্ষে ১২ বলে ৮ রান করে আউট হয়েছেন। তার আগেই শূন্য রানে ফিরেছেন নারায়ণ জগদিশান।

কলকাতার ইনিংস এ দিন একাই টেনে নিয়েছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। কলকাতার ১৫ বছরের সেঞ্চুরি খড়া কাটিয়েছেন তিনি। ২০০৮ সালে প্রথম মৌসুমে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১৫৮ রানের পর আর কেউ সেঞ্চুরির দেখা পাননি কলাকাতার জার্সিতে। আইয়ারের ৫১ বলে ১০৪ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। ৯ ছক্কার সঙ্গে বাউন্ডারি হাঁকিয়েছেন ছয়টি।

আইয়ার ছাড়া কেউই ব্যক্তিগত রানকে ত্রিশের কোটায় নিতে পারেননি। অন্যদের ব্যর্থতায় কলকাতার রান দুশো ছাড়ায়নি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বলে ২১ রান করেছেন অ্যান্দ্রে রাসেল। রিংকু সিং ১৮ বলে ১৮ ও শার্দুল ঠাকুর ১১ বলে ১৩ রান করেছেন।

মুম্বাইয়ের হয়ে বোলিংয়ে আজ শুরু করেছিলেন অভিষিক্ত অর্জুন টেন্ডুলকার। অভিষেক ম্যাচে অবশ্য আলো ছড়াতে পারেননি শচীনপুত্র। দুই ওভার বল করে দিয়েছেন ১৭ রান। সর্বোচ্চ বোলিং হৃতিক শোকিনের, নিয়েছেন দুটি উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন, ডুয়ান জানসেন, পিযুশ চাওলা এবং রাইলি ম্যারেডিথ।

রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন রোহিত শর্মা এবং ইশান কিশান। ম্যাচের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামা রোহিত আউট হয়েছেন ১৩ বলে ২০ রান করে। ততক্ষণে তাদের ওপেনিং জুটিতে উঠে গেছে ৫ ওভারে ৬৫ রান।

অনেক দিন ধরেই অফফর্মে থাকা সূর্য কুমার যাদকের ব্যাটে ঝড় ওঠে। কিশানের ২৫ বলে ৫৮ রানের তাণ্ডবে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় কলকাতা। এরপর সূর্যের ২৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে জয়ের সমীকরণ সহজ করে দেন তিনি। শেষ দিকে টিম ডেভিডের ১৩ বলে ২৪ রানের ছোট্ট ঝড়ে দুই ওভারের বেশি বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই। এছাড়া ২৫ বলে ৩০ রান করেছেন তিলক ভার্মা।

কলকাতার হয়ে এ দিন সবচেয়ে বাজে বল করেছেন সুনীল নারাইন। ৩ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট পেয়েছেন সুয়াস শর্মা। একটি করে শিকার শার্দুল ঠাকুর, বরুন চক্রবর্তী এবং লকি ফার্গুসনের।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

আগামী ১৮ এপ্রিল, মঙ্গলবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স লড়বে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে।

আগামী ২০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।