বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়ালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

প্রচণ্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ সারা দেশের মানুষ। তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়ালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ

এ অবস্থায় একমাত্র বৃষ্টিই দেশের তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। তাই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে খোলা আকাশের নিচে বিশেষ নামাজ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৭ এপ্রিল, সোমবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আফতাবনগরে এল ব্লক খেলার মাঠে এই নামাজ পড়িয়েছেন প্রখ্যাত আলেম মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এই নামাজে অংশ নিয়েছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা। নামাজের পর বৃষ্টি চেয়ে মহান আল্লাহ কাছে দোয়া করা হয়। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়। 

মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা দেশের মানুষ। তীব্র গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষসহ পশুপাখিরাও। বৃষ্টি না হওয়ায় জমির ফসলও নষ্ট হওয়ার পথে। এসব কারণে আল্লাহর রহমত কামনা করে তার কাছে বৃষ্টি চেয়ে বিশেষ নামাজ ও দোয়া করা হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, তীব্র গরমে মানুষ হাঁসফাঁস করছে। ঠিকভাবে কাজ করতে পারছেন না। বৃদ্ধ ও শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। বৃষ্টি হলে এই কষ্ট থেকে মানুষ কিছুটা রেহাই পেতে পারে। বৃষ্টি বা পানি আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সকলে একত্রিত হয়ে এই নামাজ আদায় করেছি।

অনাবৃষ্টি ও তীব্র গরম থেকে মুক্তির জন্য বৃষ্টি চেয়ে নামাজ পড়া সুন্নত। হাদিস গ্রন্থে রাসুল (সা.)-এর এই আমলের কথা বলা হয়েছে। ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিনয়ী ও বিনম্রভাবে সাধারণ পোশাক পরে ভীত হয়ে বের হন। অতঃপর দুই রাকাত নামাজ পড়েন যেভাবে তিনি ঈদের নামাজ পড়েন। তবে তিনি তোমাদের এই খুতবার মতো কোনো খুতবা দেননি। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫০৮)