‘আজানে মুগ্ধ’ হয়ে ‘শান্তির ছায়াতলে’ টিকটকার

আট বছর আগে ফিলিপাইন থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলে গিয়েছিলেন ফিলিপিনো টিকটকার ফিওনা জেমস। সেখানে মসজিদ থেকে ভেসে আসা আজানের মধুর সুর তাকে মুগ্ধ করত। সেই আজানের টানেই শেষ পর্যন্ত ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেন ফিওনা। খবর খালিজ টাইমস।

জয়নব ও সালমান

পবিত্র রমজানের প্রথম সপ্তাহেই দুবাইয়ের সাতওয়ায় অবস্থিত ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারে উপস্থিত হন ফিওনা। সেখানে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম কবুল করেন ফিওনা। পরে তার নাম রাখেন জয়নাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিকটকার ফিওনার ফলোয়ার সংখ্যা আট লক্ষ। ইসলাম গ্রহণের পর ফিওনা টিকটক অ্যাপেও নিজের নাম পরিবর্তন করেছেন। নিজের নতুন নামই তিনি অ্যাপে যুক্ত করেছেন।

ফিওনা জেমস ওরফে জয়নব বলেন, যখন থেকে আরব আমিরাতে এসেছি আজান শুনলে শান্তি পেতাম। আজানের বেশিরভাগ অংশই আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। এই আজান শুনেই ইসলামের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। এ আজান ইসলাম সম্পর্কে আমাকে কৌতুহলী করে তোলে। পরে ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেই আমি। এক্ষেত্রে আমার পাকিস্তানি সহকর্মী সালমান আমাকে সহযোগিতা করেছে।

আরব আমিরাতের একটি মসজিদ

নিজে থেকেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে জয়নব বলেন, আমার সিদ্ধান্তে আমার পুরো পরিবারই খুশি। আমাকে কেউ জোর করেনি। বরং ইসলাম গ্রহণের পর এখন আমি শান্তি অনুভব করছি। ইসলাম গ্রহণের পর পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও চর্চা শুরুর পাশাপাশি ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারের অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন তিনি।

জয়নব জানান, ইসলাম গ্রহণের পর দুবাইয়ের ইসলামিক সেন্টার তাকে মুসলমান হওয়ার প্রমাণপত্র দিয়েছে। এছাড়া টিকটকেও তিনি তার ইসলাম গ্রহণের খবর শেয়ার করেছেন। তার ভক্তরাও এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জয়নাবের পাকিস্তানি বন্ধু সালমান বলেন, পাঁচ বছর ধরে আমরা একে অপরের বন্ধু। তবে আমি জানি, ইসলাম গ্রহণে কাউকে বাধ্য করা যায় না। অবশ্য জয়নব ও আমি মাঝে মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতাম। কারণ তিনি আমার কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাইতে। তখন আমি এসব ব্যাপারে তাকে জানাতাম এবং কাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হবে, তা-ও জানাতাম। আমার বিশ্বাস এভাবেই তিনি এক সময় ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন।