ঋণ পরিশোধে শ্রীলঙ্কাকে আরও সময় দিলো বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) ডলার ঋণ পরিশোধের সময় ছয় মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। গত মার্চ মাসে এ ঋণ পরিশোধ শুরুর কথা থাকলেও তা হয়নি। এ অবস্থায় শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ঋণ পরিশোধের সময় বাড়াতে সম্মত হয়েছে। সিটিজেন নিউজ এজেন্সি এ কথা জানিয়েছে।

ঋণ পরিশোধের সময় আর বাড়াতে হবে না বলে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় গভর্নর জানিয়েছেন

খবরে বলা হয়, ২০২১ সালের মে মাসে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ সংকটের কারণে দেশটিকে ২০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয় বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করলে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে ঋণের অর্থের ওপর লিবর হারের সঙ্গে ২ শতাংশ করে সুদ দেওয়ার কথা ছিল।

২০২১ সালে তিন-মাস গড় লিবর সুদহার ছিল শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ। সে হিসাবে তিন মাসের মধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলার আসলের সঙ্গে ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ সুদ পরিশোধের কথা ছিল শ্রীলঙ্কার। কিন্তু দেশটির রিজার্ভ সংকট ক্রমশ তীব্র হতে থাকায় নির্ধারিত সময়ে ওই অর্থ পরিশোধ করতে পারেনি।

পরবর্তীতে চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশের ঋণের প্রথম কিস্তি পরিশোধের সময় নির্ধারণ হলেও শ্রীলঙ্কা সরকার যথাসময়ে নিজেদের ঋণ পুনর্বিন্যাস করতে পারেনি। এ কারণে দেশটি আগামী আগস্টে প্রথম কিস্তি ও সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধের পরিকল্পনা করছে।

ওয়াশিংটনে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপ ও আইএমএফের স্প্রিং মিটিংসের এক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার জানান, ঋণের মেয়াদ আর বাড়াতে হবে না বলে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর নিশ্চিত করেছেন। ঋণ পরিশোধের সময় বৃদ্ধির বিষয়টি বিনা পয়সায় হচ্ছে না। সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঋণের সুদের পরিমাণও বাড়বে।

রয়টার্সের তথ্য মতে, দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতাদের কাছে শ্রীলঙ্কার মোট দেনার পরিমাণ ৭১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে চীন ৩০০ কোটি ডলার, প্যারিস ক্লাব ২৪০ কোটি ডলার ও ভারত ১৬০ কোটি ডলার পাবে শ্রীলঙ্কার কাছে। এছাড়া বিদেশী বেসরকারি ঋণদাতাদের কাছে ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার ইউরোবন্ড ঋণ রয়েছে শ্রীলঙ্কার। দেশটির বকেয়া বাণিজ্যিক ঋণ রয়েছে ২৭০ কোটি ডলার।