রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার চান জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা

আঞ্চলিক সামরিক হুমকি সৃষ্টির জন্য চীনের নিন্দা জানিয়েছেন জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। একইসঙ্গে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। আজ মঙ্গলবার জাপানের কারুইজাওয়া শহরে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। ল্যাপ্রেনসা ল্যাটিনার খবর।

জাপানে বৈঠক শেষে জি-৭ নেতারা

বিবৃতিতে বিশ্ব নেতারা উত্তর কোরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সহিংসতার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কার্যক্রমের নিন্দাও করেন তারা। জি-৭ দেশগুলো হলো- জাপান, জার্মানি, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলো শিল্পোন্নত।

খবরে বলা হচ্ছে, জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনকে সামরিক কৌশল এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সম্প্রসারণবাদ সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাইওয়ানের চারপাশে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করতে দায়িত্বের সঙ্গে বেইজিংকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বিশ্বনেতারা বিবৃতিতে বলেন, চীনের উচিত জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতি সমুন্নত রাখার এবং হুমকি, জবরদস্তি, ভীতি প্রদর্শন বা শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকা। পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে নেতারা বলেন, বলপ্রয়োগ বা জবরদস্তি করে যে কোনো একতরফা প্রচেষ্টা বন্ধ করতে হবে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবির কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এই অঞ্চলে চীনের সামরিকীকরণ কার্যক্রমের বিরোধিতা করেন তারা।

জি-৭ নেতারা তাইওয়ানের চারপাশে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং বেইজিংয়ের সামরিক কৌশলের নিন্দা জানান। তারা তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তাইপেইয়ের চারপাশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির একটি অপরিহার্য উপাদান। ক্রস-স্ট্রেট সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানান তারা।

নেতারা জিনজিয়াং ও তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনের অপব্যবহারের জন্য চীনের নিন্দা করেন। পাশাপাশি হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অধিকার এবং স্বাধীনতার ক্রমাগত লঙ্ঘন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

জি-৭ নেতারা দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থার (আসিয়ান) মতো আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও জোরদারে গুরুত্বারোপ করেছেন। তাছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের দেশগুলোর সঙ্গে জোটটির অংশীদারত্বের অপরিহার্যতা পুনর্ব্যক্ত করেন তারা।