‘অল ইতালিয়ান’ যুদ্ধে শেষ হাসি এসি মিলানের

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল দল রিয়াল মাদ্রিদ। রেকর্ড ১৪ বারের (সর্বোচ্চ) চ্যাম্পিয়ন তারা। ফুটবলের নিয়মিত খোঁজখবর রাখা প্রায়সবাই এটি জানেন। কিন্তু জানেন কি ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সেরা দল কোনটি? দলটার নাম এসি মিলান। সাতবার ইউরোপের রুপালি ট্রফি জিতেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।

ফিরতি লেগ ড্র হয়েছে

একসময়কার প্রতাপশালী সেই ক্লাবটি কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। এর মাঝে তো কয়েক মৌসুম এলিট এই ক্লাব টুর্নামেন্টের টিকিটও পায়নি সান সিরোর দলটি। অবশেষে স্বপ্নের প্রত্যাবর্তন করল এসি মিলান। দীর্ঘ ১৬ বছর পর ইতালিয়ান জায়ান্টরা পেল চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের টিকিট। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা বিদায় করেছে আরেক ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলিকে।

প্রতিযোগিতার এই মৌসুমের একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়ে যাচ্ছে ইতালির ক্লাবগুলো। কোয়ার্টার ফাইনালে সর্বোচ্চ তিনটি ক্লাব উঠে এসেছে এই দেশ থেকে। তন্মধ্য নাপোলি প্রথমবার টিকিট পেয়েছে শেষ আটের। কিন্তু শেষ চারে ওঠার ড্র মুখোমুখি করে দেয় এসি মিলান ও নাপোলিকে। ‘অল ইতালিয়ান’ লড়াইয়ের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল সিরি’এ লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

মঙ্গলবার রাতে ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচেও জয়ের সুবাস পাচ্ছিল এসি মিলান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাপোলিকে সমতায় ফেরান ভিক্টর অসিমহেন। প্রথম লেগে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি আফ্রিকান এই ফরওয়ার্ড। এবার মাঠে ফিরেই গোল করলেন তিনি। ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে নাপোলির।

চলতি মাসে এ নিয়ে তৃতীয়বার লড়াই করল দুই দল। সিরি’এ লিগে নাপোলিকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে এসি মিলান। গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগে তারা জেতে ১-০ ব্যবধানে। অবশেষে মিলান জায়ান্টদের রুখে দিতে পারল নাপোলি। ঘরের মাঠে সাবেক চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে তাই বিদায় নিতে হলো নাপোলিকে।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে অলিভার জিরার্ড লিড এনে দেন এসি মিলানকে। টুর্নামেন্টের নক আউট পর্বে তিনি এখন চতুর্থ ‘বুড়ো’ গোলদাতা (৩৬ বছর)। গোল করে যেন শাপমোচন করলেন ফরাসি ফরওয়ার্ড। ২২ মিনিটে তিনি যে পেনাল্টি মিস করেছিলেন! একই অভিজ্ঞতা হয়েছে নাপোলি তারকা কারাৎসখেলিয়ারও। ৮২ মিনিটে তিনিও স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন।

নাপোলির ফেরার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে ওখানেই। রূপকথার যাত্রার একটা সমাপ্তি হলো তাদের। এমন বিদায়েও গর্বিত নাপোলি। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নেওয়া দলটা এখন সিরি’এ লিগে মনোযোগ বাড়াতে পারে। ৩৩ বছর পর লিগ জয়ের খুব কাছেই আছে নাপোলি।