ক্ষোভ জানাতে গিয়ে মুসলিম হয়ে গেলেন তিনি

ঈদের নামাজের সময় লাউড স্পিকারের শব্দ তার ভালো লাগছিল না। তাই ক্ষোভ জানাতে মসজিদে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানকার পরিবেশ দেখে শেষপর্যন্ত মুসলিম হয়েই ঘরে ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়ান এক বৃদ্ধ। খবর দোহা নিউজ।

হাসান গস ও ব্রায়ান

গত ২২ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত উদযাপিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়। ঈদের নামাজ উপলক্ষে সেখানকার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের উপকূলীয় গোল্ড কোস্ট শহরের একটি মসজিদে অংশ নিয়েছিলেন স্থানীয় মুসলমানরা। ঈদের আবহে সেদিন মসজিদে লাউড স্পিকারে একটু বেশিই শব্দ হয়েছিল। তাতে ক্ষুব্ধ হন ব্রায়ান নামের স্থানীয় এক অমুসলিম বৃদ্ধ। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ ঝারতে যান তিনি।

কিন্তু মসজিদের আনন্দমুখর দৃশ্য দেখে তিনি মুগ্ধ হয়ে যান। সেখানে সবাই পরস্পরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ে ব্যস্ত। প্রিয় ও পরিচিতজনদের সঙ্গে কোলাকুলি করছেন। সবমিলিয়ে অন্যরকম এক পরিবেশ দেখে বিমোহিত হয়ে পড়েন তিনি।

ব্রায়ানকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন সবাই

এক পর্যায়ে মুসলিম হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সবার সঙ্গে তিনিও পাঠ করেন কালেমায়ে শাহাদাত। পরে উপস্থিত মুসল্লি ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের শুভেচ্ছায় আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার ইসলাম প্রচারক হাজি হাসান গসের পোস্ট করা এক ভিডিওতে ওই বৃদ্ধকে আরবি ও ইংরেজিতে কালেমা পাঠ করতে দেখা যায়। হাজি হাসান তার পোস্টে লেখেন, ঈদের এই দিনে ইসলামে আমাদের ভাইকে স্বাগতম। তিনি গোলমালের অভিযোগ করতে এসে মুসলমান হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। আল্লাহু আকবার।

প্রতিবেশীরা বলেন, ব্রায়ান নামের এই ব্যক্তি মসজিদের কাছাকাছি এক বৃদ্ধাশ্রমে বসবাস করেন। ঈদের দিন নামাযের পর মানুষের শোরগোল নিয়ে অভিযোগ জানাতে মসজিদে এসেছিলেন তিনি। পরে সেখানে প্রায় ৫০ মিনিট অবস্থান করে ভেতরের অবস্থা দেখেন। তারপরই সিদ্ধান্ত নেন মুসলিম হওয়ার। পরে তিনিসহ দুইজন ইমামের কাছে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। জীবনের শেষ মুহূর্তে এসে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেওয়ায় তাকে অভিবাদন জানান উপস্থিত মুসলিমরা।