শেষ বলে কলকাতার থ্রিলার জয়

শেষ ওভারে কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিপক্ষে জিততে হলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের দরকার ছিল ৯ রান। হাতে ছিল তিন উইকেট। ১৬ বলে ২০ রান করে স্ট্রাইকে ছিলেন আব্দুল সামাদ। বোলার বরুণ চক্রবর্তী শেষ ওভারে দিলেন মোটে তিন রান। সামাদের উইকেটটিও তুলে নেন বরুণ। যার দরুন শেষ বলে কলাকাতা পায় রোমাঞ্চকর জয়।

শেষ ওভারে থ্রিলার জয় কলকাতার

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গতরাতে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭১ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে কলকাতা। জবাবে আট উইকেট হারিয়ে শেষ বলে ১৬৬ রানে থামে হায়দরাবাদ। পাঁচ রানের জয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বরুণ।

ইনিংস উদ্বোধনে কলকাতার পুরোনো রোগটা আরও একবার দেখা গেল। দলীয় ৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত শূন্যরানে আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তিনে নামা ভেঙ্কটেশ আইয়ারও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৭ এবং দলীয় ১৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার উইকেটটি নিয়েছেন মার্কো জ্যানসেন। দক্ষিণ আফ্রিকার এই বোলার কিছুক্ষণ পরই জ্যাসন রয়কে নিজের শিকার বানান। ইংলিশ ওপেনার আউট হয়েছেন ১৯ বলে ২০ রান কেরে। প্রোটিয়া পেসারের জোড়া শিকারে চাপে পড়ে কেকেআর।

সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিতে জুটি গড়েন অধিনায়ক নিতিশ রানা এবং রিংকু সিং। দলীয় ৯৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন রানা, তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪২ রান। এরপর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে জুটি গড়েন রিংকু সিং। রিংকু আউট হয়েছেন ৩৫ বলে ৪৬ রান করে। রাসেল ফিরেছেন ১৫ বলে ২৪ রান করে। ৭ বলে ১৩ রান বরে অপরাজিত ছিলেন অনুকুল রয়। সানরাইজার্সের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জ্যানসেন এবং টি নটরাজেন।

রান তাড়া করতে নেমে তিন ওভারে ২৯ রানের একটি উড়ন্ত সূচনা করলেও এরপরই পথ হারায় হায়দরাবাদ। ২৯ থেকে ৫৪ রানের মধ্যে চারটি উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি। তবুও দলকে জয়ের পথে রাখেন অধিনায়খ এইডেন মার্করাম। তবে ৪১ রান করতে খেলে ফেলেছিলেন ৪০টি বল। যেটা পুষিয়ে দেওয়ার আগেই ফিরতে হয়েছে প্যাভিলিয়নে।

হেনরিখ ক্লাসেনের ২০ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে শেষ দিকে জয়ের স্বপ্ন দেখে হায়দরাবাদ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন সামাদ। তবে শেষ ওভারে নায়ক বনে যান বরুণ। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নাইটরা।

দুই দলের পরবর্তী ম্যাচ

আগামী ৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখ হবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
৮ মে পাঞ্জাব কিংসকে মোকাবেলা করবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।