অবিশ্বাস্য, এক ওভারে ৪৬ রান

টি-টোয়েন্টি, টি-টেনের জোয়ারে ওভারের ৬ বলে ৩৬ রান নেওয়ার ঘটনা মাঝে মধ্যেই শোনা যায়। নো-বলের কল্যাণে আরও দুয়েক রান বেশি হওয়ারও খবর পুরোনো হয়ে গেছে। নতুন খবর হচ্ছে, এক ওভারে ওঠেছে ৪৬ রান। গত মঙ্গলবার কুয়েতের কেসিসি ফ্রেন্ডি মোবাইল টি-২০ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি ম্যাচে ঘটেছে এ ঘটনা। খবর এনডিটিভি।

চারদিকেই রান সংগ্রহ করেন বাসুদেব

কুয়েতের সুলাইবিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এনসিএম ইনভেস্টমেন্ট বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ট্যালি সিসি। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় এনসিএম ইনভেস্টমেন্ট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ২৮২ রানের বিশাল পাহাড়। বাসুদেব দাতলার বিধ্বংসী শতকের পাশাপাশি আদনান ইদ্রিস ও দিজু জাভিয়েরের ঝড়ো হাফ-সেঞ্চুরিতে এ রানের পাহাড়ে চড়ে বসে এনসিএম ইনভেস্টমেন্ট।

বাসুদেব মাত্র ৪১ বলে শতরান করে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১১টি ছক্কা। দলের ১৫তম ওভারে তিনি রীতিমতো তাণ্ডব চালান। বল করতে এসে হরমন সিং শুরুতেই নো বল করেন। তাতে ছক্কা হাঁকান বাসুদেব। হরমন আবারও বল করলে তাতে বাই-চার পেয়ে যায় এনসিএম। দ্বিতীয় বলে আবারও ছক্কা হাঁকান বাসুদেব। নার্ভাস হরমন তখন আবারও নো-বল করে বসেন। সেটিকেও বাউন্ডারির ওপারে পাঠিয়ে দেন ব্যাটার। এরপর ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর তিনবার বলকে উড়িয়ে মারেন বাউন্ডারির ওপারে। শেষ বলে সংগ্রহ করেন চার রান।

বাসুদেব খেলছেন

সব মিলিয়ে ২টি নো-বলসহ ওভারে মোট ৮টি বল করেন হরমন। তাতে ৬টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন বাসুদেব। এছাড়া অতিরিক্ত হিসেবে স্কোরকার্ডে বাই থেকে ১টি চার ও দুটি নো-বলের রান যোগ হয়। সবমিলিয়ে সেই ওভারে আসে মোট ৪৬ রান। হরমন মোট দুই ওভার বল করেছেন, তাতে তার খরচ হয়েছে ৬৪ রান।

বাসুদেব ছাড়াও ইনিংসে তাণ্ডব চালান দিজু ও আদনান। দিজু ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে করেন ৯০ রান। ২৪ বলে ৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৫৯ রান করেন আদনান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ট্যালি সিসি ১৫.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬৬ রান করতে সক্ষম হয়। ফলে ২১৬ রানের অবিশ্বাস্য ব্যবধানে ম্যাচ জেতে এনসিএম ইনভেস্টমেন্ট।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক এক দিনের ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে সর্বোচ্চ ৩৬ করে রান ওঠেছে। অন্যদিকে টেস্টে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান ৩৫।