আপনি পড়ছেন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার ঘটনায় সিআইএকে দায়ী করেছেন তার ভাইপো রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেনেডি পরিবারের এ সদস্য ক্ষমতায় গেলে সিআইএ'র জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট।

robert kennedy jr
রবার্ট কেনেডি জুনিয়র। ইনসেটে হত্যার আগমুহূর্তে গাড়িতে বসা প্রেসিডেন্ট কেনেডি

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার পেছনে সিআইএর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নতুন নয়। গত ৬০ বছরে নানা রচনায় ও সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ এসেছে। কেনেডি হত্যায় সিআইএর জড়িত থাকার স্বপক্ষে কিছু প্রমাণ তুলে ধরে ‘জেএফকে অ্যান্ড দি আনস্পিকেবল’ শিরোনামে চাঞ্চল্যকর একটি বই লিখেছেন জেমস ডগলাস। তবে কেনেডি পরিবারের কারও মুখ থেকে এবারই প্রথম মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটির দিকে প্রকাশ্যে আঙুল তোলা হলো।

রোববার রাতে ডব্লিউএবিসি ৭৭০ এএম রেডিওতে এক সাক্ষাৎকারে রবার্ট কেনেডি জুনিয়র বলেন, এটা খুব স্পষ্ট যে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যার পেছনে সিআইএ জড়িত। বিষয়টি কেবল যুক্তিযুক্ত সন্দেহ নয়, তার চেয়েও বেশি।

মার্কিন রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম বর্ণাঢ্য ও খ্যাতনামা পরিবার ম্যাসাচুসেটসের কেনেডি পরিবার। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি। তার ভাই রবার্ট কেনেডি ওরফে টেড কেনেডি ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল ও পরবর্তীতে প্রভাবশালী সিনেটর। টেড কেনেডির ছেলে রবার্ট কেনেডি জুনিয়র এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের জন্য লড়ছেন।

গতরাতে ডব্লিউএবিসি রেডিওর হোস্ট জন ক্যাটসিমাইডাসের অনুষ্ঠানে রবার্ট কেনেডি জুনিয়র বলেন, উনার (আঙ্কেল কেনেডি) হত্যাকাণ্ডে সিআইএর জড়িত থাকার প্রমাণের অভাব নেই। হত্যাকাণ্ড পরিচালনা ও পরবর্তীতে ঘটনাটির তদন্ত ধামাচাপা দিতে সিআইএর সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এখন প্রশ্নাতীত। সিআইএ যে বারবার তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ অস্বীকার করছে, সেটাকে আমি বলব ৬০ বছর ধরে চলে আসা ধামাচাপার ঘটনা।

কিউবায় ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বে সমাজতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা, দেশের ভেতরে যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন, কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার আন্দোলন, বে অব পিগসে সোভিয়েত ইউনিয়নের মিসাইল মোতায়েনকে ঘিরে দুই পরাশক্তির মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা- সব মিলিয়ে মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম ঝঞ্জাবহুল সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন জন এফ কেনেডি।

তরুণ বয়সে প্রেসিডেন্ট হওয়া কেনেডি ছিলেন সুদর্শন পুরষ। তার স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডি ওনাসিস ছিলেন ডাকসাইটে সুন্দরী। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের এ ফার্স্ট ফ্যামিলিকে ঘিরে মার্কিন ও ইউরোপীয় প্রচারমাধ্যমের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। সমসাময়িক হলিউডি নায়িকা মেরিলিন মনরোর সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সম্পর্কের গুজব থাকায় বিষয়টি পেয়েছিল ভিন্ন মাত্রা।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাস সফর করেন কেনেডি। ডালাসের একটি সড়কে ছাদখোলা গাড়িতে বসে তিনি রাস্তার দুই পাশে জমায়েত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নাড়ছিলেন। এ সময় আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন। গুলিবর্ষণের অভিযোগে লি হার্ভে অসওয়াল্ড নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।

কেনেডি হত্যার ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্র সরকার একটি কমিশন গঠন করে। ওয়ারেন কমিশন রিপোর্ট নামে পরিচিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, লি হার্ভে অসওয়াল্ড এককভাবে এ প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণ করেছে। লি কোনো সংগঠিত ষড়যন্ত্রের অংশ, এমন প্রমাণ মেলেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.