পাল্টে যাচ্ছে মদিনা, গড়ে তোলা হবে আধুনিক ইসলামি পর্যটনকেন্দ্র

সৌদি আরবের মদিনা মুনাওয়ারাহকে ইসলামের দ্বিতীয় সম্মানিত শহর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সম্প্রতি মদিনাকে ‘আধুনিক ইসলামি ও সাংস্কৃতিক গন্তব্য’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। দেশটির পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আবাসন প্রতিষ্ঠান রুয়া আল-মদিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। খবর আরব নিউজ।

মদিনায় হবে আধুনিক ইসলামি পর্যটন কেন্দ্র

জানা গেছে, এরইমধ্যে রুয়া আল-মদিনা পবিত্র মসজিদের পূর্ব দিকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে। অত্যাধুনিক এই প্রকল্পের আওতায় মদিনায় ১৪০ রুমের হোটেল, ১২০টি ফেয়ারমন্ট ব্র্যান্ডেড বাসস্থান, ৪৬৬ কক্ষের সুইসোটেল ও ৩২৮ কক্ষের নভোটেল গড়ে তোলা হবে।

রুয়া আল-মদিনার সিইও আহমেদ আল-জুহানি বলেন, বিশ্ববিখ্যাত বহুজাতিক ফরাসি প্রতিষ্ঠান অ্যাকরের অংশীদারিত্বে কাজ শুরু করেছি আমরা। নতুন এই তিন ব্র্যান্ড মদিনাকে অনেকাংশেই পাল্টে দেবে এবং শহরের দর্শনার্থীদের নতুন আতিথেয়তার অনুভূতি দেবে। এতে কম খরচেই দর্শনার্থীদের প্রয়োজন পূরণ হবে এবং তাদের অভিজ্ঞতাও সমৃদ্ধ হবে।

মদিনার চেহারাই পাল্টে যাবে

রুয়া আল-মদিনা হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল-খালিলি বলেন, পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ১৪০ বিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা ৩৭ বিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটি শেষ হলে এর মাধ্যমে ৯৩ হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এর প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, প্রাচীন ইতিহাস ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর সমন্বয়ে মদিনাকে একটি ধর্মীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলা। যেন অধিক সংখ্যক দর্শনার্থীর জন্য মসজিদে নববীর প্রধান এলাকা পুরোপুরি প্রস্তুত থাকে এবং সেখানে যেন আধুনিক অবকাঠামোসহ শহুরে একটি পরিবেশ তৈরি হয়।

সৌদি ভিশন-২০৩০ অনুযায়ী এই প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে, মদিনার আতিথেয়তা সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, ২০৩০ সালের মধ্যে সেখানে ৪৭ হাজারের বেশি হোটেলকক্ষ প্রস্তুত করা হবে, যাতে তিন কোটি দর্শনার্থীর থাকার ব্যবস্থা করা যায়।