৪৪ বছর পর ফের দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে ইরান-মিশর

কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ও দূতাবাস পুনরায় চালু করার জন্য ইরাকের রাজধানী বাগদাদে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ইরানি এবং মিশরীয় কর্মকর্তারা। নিউজ ওয়েবসাইট আল আরাবি আল জাদিদকে এই তথ্য জানিয়েছেন ইরানের আইনপ্রণেতা ফাদাহোসেন মালেকি। খবর দ্য নিউ আরব।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

মালেকি বলেন, মিশর ও ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এই আলোচ্যসূচিতে দূতাবাস পুনরায় চালু করার বিষয়টিও ছিল। তবে এক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা, পরিকল্পনা, এবং উভয় দেশের প্রতিনিধিদের সফর প্রয়োজন রয়েছে। সৌদি-ইরান সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল।

ইরানি এই আইনপ্রণেতা জানান, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহযোগিতার অগ্রগতির জন্য সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। উভয় দেশের মধ্যে আলোচনার মধ্যস্থতায় ইরাকের ভূমিকা ইতিবাচক এবং প্রভাবশালী ছিল। তিনি আশা করেন, শিগগিরই মিশর এবং ইরানের মধ্যে দূতাবাস পুনরায় চালু হবে।

মালেকি উল্লেখ করেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার মিশরীয় প্রতিপক্ষ আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির মধ্যে বৈঠকের আগে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং মিশরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শোকরির মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের ফলে ইরানের শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর থেকে সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর ঘনিষ্ঠ মিত্র মিশরের সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়।

প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের শাসনামলে শাহ মিশরে আশ্রয় নেন। এরফলে মিশরের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। শাহ ১৯৮০ সালে মিশরে মারা যান এবং তাকে সেদেশে সমাহিত করা হয়। মিশর একমাত্র আরব দেশ ১৯৭৯ সাল থেকে তেহরানে যার কোনো দূতাবাস নেই।