কিম জং উনের দেশে মসজিদের সংখ্যা মাত্র একটি!

বিশ্বের যেসব দেশের তথ্য সহজে পাওয়া যায় না, তার শীর্ষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। স্বাভাবিকভাবেই দেশটিতে কোনো ধর্মের কেমন সংখ্যক লোকের অস্তিত্ব রয়েছে, তা জানা বেশ কঠিন। তবে যতটুকু জানা যায়, তাতে দেখা গেছে, দেশটিতে সর্বসাকুল্যে মসজিদ রয়েছে একটি। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ইরানি দূতাবাসে এর অবস্থান।

উত্তর কোরিয়ার একমাত্র মসজিদ

উত্তর কোরিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা কত- এ ব্যাপারে সরকারি কোনো তথ্য নেই। তবে বিদেশি দূতাবাসগুলো ও বিদেশি পর্যটকদের নামাজ আদায়ের জন্য একটি মসজিদ রয়েছে। মসজিদটির নাম বায়তুর রহমান। মূলত মসজিদটি কোরিয়ান সরকারের তৈরি করা নয়, নিজেদের দূতাবাসকর্মীদের নামাজ আদায়ের জন্য ১৯৮৫ সালে তৈরি করে ইরান। দেশটি শিয়াপ্রধান হলেও দীর্ঘদিন ধরে এটি শিয়া-সুন্নি সব ধরনের মুসলমানদের নামাজ আদায়ের জায়গা।

অন্যদিকে পিয়ংইয়ংয়ে পাঁচটি গির্জা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে- প্রোটেস্ট্যান্ট বনসু, চিলগোল, জিল চার্চ, ক্যাথলিক জাংচুং ক্যাথেড্রাল এবং অর্থোডক্স হলি ট্রিনিটি রাশিয়ান চার্চ। এগুলোতে আগত বেশিরভাগই লোকজনই বিদেশি।

মসজিদটির ভিতরের অংশ

মূলত ধর্ম বিষয়টিই উত্তর কোরিয়ায় অবহেলিত। সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব গ্লোবাল ক্রিশ্চিয়ানিটি পরিচালিত ২০২০ সালের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার জনসংখ্যার ৫৮ শতাংশ অজ্ঞেয়বাদী, ১৫ শতাংশ নাস্তিক, ১৩ শতাংশ সমসাময়িক ধর্মে বিশ্বাসী; ১২ শতাংশ লোকধর্মে বিশ্বাসী এবং ১.৫ শতাংশ বৌদ্ধ। খ্রিস্টান, মুসলিমসহ অন্যান্য প্রধান ধর্মের সম্মিলিত জনসংখ্যা ০.৫ শতাংশেরও কম।

পিয়ংইয়ং থেকে পালিয়ে আসা তাই-ইল শিম ২০২০ সালের নভেম্বরে সংবাদ সংস্থা এনকে নিউজকে জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার লোকেরা কখনও মসজিদের কথা শুনেনি বা দেখেনি। আমরা মুসলিম বিশ্বের কথা যতটুকু শুনি, তা কেবল স্কুলের পাঠ্যবইয়ে।

তবে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন দাবি করে, তাদের সংবিধান ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয় এবং যে কোনো আস্তিক ব্যক্তি স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে পারে।

সূত্র: এনকে নিউজ