কিয়েভে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ‘নজিরবিহীন’ মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একদিনে আকাশপথে ১৮ দফায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে আগ্রাসনকারী রুশ সেনারা। এতে প্রাণহানির তাৎক্ষণিক তথ্য পাওয়া যায়নি। চলতি মাসে এটি কিয়েভে অষ্টমবারের মতো তীব্রতর হামলা। খবর বিবিসি।

রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগুন নেভাতে ব্যস্ত ফায়ারকর্মীরা

ইউক্রেনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার রাতভরই রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল রাজধানী কিয়েভ। আকাশপথে বিমান ও ড্রোন থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। স্বল্প সময়ে নজিরবিহীন তীব্রতর এ হামলা চালানো হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর সাইরেন বন্ধ হয়। এ সময়ে রাজধানী শহরের কেন্দ্রে অস্বাভাবিকভাবে তুমুল সংখ্যক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি বলেন, রাজধানীর উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিক দিয়ে আকাশপথে কিয়েভে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। অতি অল্পসময়ের মধ্যে আকাশ, সমুদ্র ও স্থল-ভিত্তিক ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রুশ বাহিনী।

তার দাবি, ১৮ টি ক্ষেপণাস্ত্রই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ফুটেজেও দেখা গেছে, বিমান প্রতিরক্ষাগুলো কিয়েভ শহরের উপর আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করছে।

জেনারেল জালুঝনি বলেন, নয়টি কালিব্র ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা কৃষ্ণ সাগরে জাহাজ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং তিনটি স্থলভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র।

সেনাপ্রধানের দাবি, কিয়েভ ছয়টি কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও ধ্বংস করেছে, যা ১১ হাজার কিলোমিটার গতিতে কিয়েভের আকাশসীমায় পৌঁছেছে।

তবে রাশিয়া দাবি করেছে, হামলায় ব্যবহৃত ড্রোন ও মিসাইল সবগুলোই লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। হাইপারসনিক অস্ত্রগুলো নিজেদের গতির কারণে এবং সেইসঙ্গে স্থলভিত্তিক রাডারের দৃষ্টিসীমার বাইরে কম উচ্চতায় উড়ে যাওয়ার কারণে তাদের ধ্বংস করা কঠিন।

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনীয় সেনারা দখলকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে যাচ্ছে- এমন খবরে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে র বিমান হামলা তীব্রতর করেছে মস্কো।