আসাদের বক্তৃতার আগেই বেরিয়ে গেলেন কাতারের আমির

এবারের আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বেশিরভাগ আরব নেতাদের কাছ থেকে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনা। কিন্তু এই অঞ্চলের একজন গুরুত্বপূর্ণ আরব নেতা তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাত করেননি। এমনকি তিনি বক্তৃতা দেওয়ার আগেই সম্মেলন স্থল থেকে বেরিয়ে গেছেন। এই আরব নেতা হলেন কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ১৯ মে, শুক্রবার সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লিগের ৩২তম শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

কাতারি আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি

আরব লিগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে যে কয়টি আরব দেশ বিরোধিতা করেছিল কাতার তার মধ্যে অন্যতম। কাতারের আমির চেয়েছিলেন বাশার আল আসাদ আগে নিজ দেশে শাসন ব্যবস্থার সংস্কার করবেন, তারপর সিরিয়াকে এই সংস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে। কিন্তু সৌদি আরবের অতি আগ্রহের কারণেই মে মাসের শুরুতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি তার সদস্যপদ ফিরে পায়। এরপর আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন আসাদ। 

শেখ তামিম ২০১৮ সালে বাশার আল আসাদকে যুদ্ধাপরাধী বলে অভিহিত করেছিলেন। কাতারের আমিরের প্রশাসনিক কার্যালয় আমিরি দিওয়ান থেকে মিডিয়ায় পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাতারের আমির তার দেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়ার পরে জেদ্দা ত্যাগ করেন। তিনি আসাদের বক্তৃতা দেওয়ার আগেই সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন। এমনকি তিনি নিজের বক্তৃতাও দেননি।

শুক্রবার বিকেলে বাশার আল আসাদ সৌদি শহর জেদ্দার শীর্ষ সম্মেলন স্থলে পৌঁছেন। সে সময় সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান তার দিকে হাত বাড়িয়ে দেন। আরবীয় রীতি অনুযায়ী উভয় নেতাই পরস্পরের সঙ্গে আলিঙ্গনও করেছেন। এরপর তিনি মিশরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে করমর্দন করেন।

কাতার চলতি মাসে জানিয়েছে, দেশটি অন্যান্য আরব দেশের মতো আসাদের সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। তবে আরব লিগে সিরিয়ার প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে বাধাও দেবে না।  

একজন আরব কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি সৌদি আরবের জেদ্দায় আরব লিগের শীর্ষ সম্মেলনে কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেননি। তিনি সম্মেলনে বক্তৃতাও দেননি। মূলত তার উপস্থিতি ছিল একটি সৌজন্যমূলক সফর। ওই কর্মকর্তা যোগ করেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কথা বলার আগেই আমির সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন।

এদিকে সিরিয়ার বিরোধীপক্ষগুলো আসাদের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের বিরোধিতা করেছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে শত শত মানুষ আসাদবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। ‘জনগণ আসাদের সরকারের পতন চায়’ বলে স্লোগান দিয়েছেন তারা।

সূত্র: দ্য নিউ আরব, রয়টার্স