চীনের স্বর্ণযুগ কী শেষ?

বৈশ্বিক অর্থনীতি যখন ফের মন্দার দিকে ধাবিত হচ্ছে, তখন সাম্প্রতিক অতীতের সেই একই অবস্থা থেকে পুনরুদ্ধারের যে আস্থা, সেটি দ্রুত হারাচ্ছে। যেমন, চীন এখন নিস্ক্রিয় মৌসুম পার করছে।

চীনের পতাকা

ফাইন্যান্সিয়াল পোস্ট লিখেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ শতাংশেরও নিচে নেমে যেতে পারে এবং পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য প্রায় ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে। এটি ১৯৯০ সালের পর থেকে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির সর্বনিম্ন মধ্যমেয়াদি বৃদ্ধির পূর্বাভাস। গত দুই দশকে দেখা গেছে, গড় বৃদ্ধি ৩ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়েও কম।

কিন্তু অতীতের তুলনায় চিত্র এবার একেবারে ভিন্ন। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কেবল কয়েকটি ইঞ্জিন বা চালিকাশক্তি রয়েছে, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে কিংবা আরও ধস থেকে ঠেকাতে পারে। এই অর্থনৈতিক ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে চীনের সম্ভাবনা সবচেয়ে কম। কারণ, তার নিজস্ব অর্থনীতি হালই ভালো দেখাচ্ছে না।

কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বিশ্বজুড়ে শুরু হলে অনুমান করা হয়েছিল, চীনা অর্থনীতি এই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ যোগাতে পারে। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেছিলেন, চীনের একটি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন বিশ্বের অন্যান্য অংশের প্রত্যাশিত মন্দাকে কাটাতে সহায়তা করবে, যা গত এক-দেড় বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আর্থিক কঠোর নীতির কারণে সৃষ্ট হয়েছে।

কিন্তু অতীতে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে সংকটের পর চীনের বিশাল উদ্দীপনা বিশ্ব অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করেছিল। অবকাঠামো প্রকল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানির চাহিদা বেশি এশিয়ান এই দেশটির। কিন্তু চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পুরনো সেই গল্প এখনকার বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করার মতো ভালো আকারে নেই। ফলে সেই প্রত্যাশাগুলোও ম্লান হতে শুরু করেছে।