ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক: বেঁকে বসেছে সৌদি আরব

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রশ্নে বেঁকে বসেছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়ে দিয়েছে, দ্বি-রাষ্ট্রীয় ভিত্তিতে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান না হলে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে কথা বলার সময় গতকাল বৃহস্পতিবার সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বক্তব্য দিচ্ছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান

সৌদি আরব জানিয়েছে, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি এ অঞ্চলের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচার ফিরিয়ে না দিয়ে এই ধরনের স্বাভাবিকীকরণ সীমিত সুবিধা বয়ে আনবে। আমরা চাই সবার জন্য কল্যাণকর পন্থা কার্যকর হোক।

তিনি বলেন, আমরা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য শান্তির পথ খুঁজতে চাই এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনো স্বাভাবিককরণের নীতি ঝুঁকিপূর্ণ।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি ফিলিস্তিনিদের মর্যাদা ও ন্যায়বিচার রক্ষার একটি পথ খুঁজে বের করার মনোনিবেশ করা উচিত। এজন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একই দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে ফিলিস্তিন নিয়ে কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন। তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে অনুরোধ করেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আলোচনার পর দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন না করে শান্তি প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের একীকরণকে আরও গভীর করার বিষয়ে কথা বলেছেন ব্লিঙ্কেন-নেতানিয়াহু। ব্লিঙ্কেন দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপগুলো এড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে আকাবা এবং শারম এল শেখে আঞ্চলিক বৈঠকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বহাল রাখার বিষয়টিতে গুরুত্বারোপ করেছেন।

গত বুধবার ব্লিঙ্কেন সৌদি সফর শুরু করেন। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের ৭ মে সফরের পর ব্লিঙ্কেন ছিলেন দ্বিতীয় শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা, যিনি এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সৌদি আরব সফর করলেন।