হোয়াইট হাউস: মস্কোয় ড্রোন কারখানা তৈরিতে সহায়তা দিচ্ছে ইরান

ইরানের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইরান একটি ড্রোন কারখানা তৈরির জন্য রাশিয়াকে উপকরণ সরবরাহ করছে, যা আগামী বছরের শুরুর দিকে পুরোপুরি চালু হতে পারে। স্কাই নিউজ।

হোয়াইট হাউজের প্রকাশ করা ড্রোন কারখানার ছবি

হোয়াইট হাউস রাশিয়ার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলাবুগায় ড্রোন উত্পাদন কারখানাস্থলের স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করেছে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, মস্কো ইরানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করছে। ইরানের কাছ থেকে দেশটি শত শত ড্রোন পেয়েছে এবং তা দিয়ে ইউক্রেনে হামলায় কাজে লাগাচ্ছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ড্রোনগুলো আনক্রুড এরিয়াল ভেহিক্যালস (ইউএভি), যা ইরান তৈরি করে থাকে। ড্রোনগুলো ক্যাস্পিয়ান সাগর পেরিয়ে মস্কোয় পাঠানো হয়েছিল এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান বাহিনী তা ব্যবহার করেছিল।

কিরবি বলেন, রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কিয়েভে ইরানের ইউএভি ব্যবহার করছে। ইউক্রেনের জনগণকে আতঙ্কিত করতেই এই হামলা। তাছাড়া রাশিয়া-ইরান সামরিক অংশীদারিত্ব আরও গভীর হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। রাশিয়ায় ইরানি ইউএভি তৈরির কারাখানা করতে মস্কোকে সহায়তা দিচ্ছে তেহরান।

রাশিয়া ও ইরান পরস্পরকে অস্ত্র দিচ্ছে বলে দাবি

ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লিভারলি বলেছেন, ইরান রাশিয়াকে ধারাবাহিকভাবে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে। প্রতিদানে রাশিয়া ইরানকে অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি, আর্থিক সহায়তা এবং পরামর্শ সরবরাহ করছে, যা ইরান সরকার মধ্যপ্রাচ্যে অংশীদারদের হুমকি দমনে ব্যবহার করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এর আগে রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের জন্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক ইরানি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তবে রাশিয়ার কাছে ড্রোন পাঠানোর কথা অস্বীকার করলেও যুদ্ধ শুরুর আগে মস্কোকে ড্রোন দেওয়া হয়েছিল তা স্বীকার করেছে তেহরান। মস্কো বাহিনীও ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে।

জন কিরবি বলেন, ইরান ও রাশিয়া পরস্পরকে আরও বেশি করে সমর্থন দিচ্ছে। ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে হেলিকপ্টার, রাডারসহ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম চেয়েছে। রাশিয়া ইরানকে ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রনিক্স এবং বিমান প্রতিরক্ষাসহ অভূতপূর্ব প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়ে আসছে।