আপনি পড়ছেন

সিরিয়ার বিরোধী গ্রুপগুলোর সংগঠন সিরিয়ান নেগোসিয়েশন কমিশনের (এসএনসি) প্রধান বদর জামুস বলেছেন, বিরোধী দলগুলো সব ইস্যু নিয়েই আসাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে। তিনি ৭ জুন, বুধবার রাশিয়ার সরকারী বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই কথা বলেছেন।

syrian president bashar al assadসিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ

১২ বছরের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতার অবসান ঘটিয়ে আরব রাষ্ট্রগুলো সিরিয়ার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমবর্ধমানভাবে স্বাভাবিক করছে। এ রকম একটি সময়ে এসএনসি এর কাছ থেকে এই বিবৃতি এসেছে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। মূলত সৌদিদের আগ্রহেই দীর্ঘ এক যুগ পরে পুনরায় আরব লিগের সদস্যপদ ফিরে পেয়েছে সিরিয়া। এর ফলে বাশার আল আসাদ ১৯ মে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত আরব লীগের সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পেরেছেন।     

২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে তুরস্কসহ বেশিরভাগ আরব দেশই আসাদের বিরোধী দলগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় বিদ্রোহী দলগুলোকে কোনঠাসা করতে সমর্থ হন বাশার আল আসাদ।

সিরিয়ার রাজনৈতিক লেখক এবং রোওয়াক মেসালুন ম্যাগাজিনের প্রধান সম্পাদক হাজেম নাহার দ্য নিউ আরবকে বলেছেন, ‘এসএনসিকে সবসময় জাতিসংঘের প্রস্তাবের প্রতি তার অঙ্গীকারের উপর জোর দিতে হবে। তারা যেসব বিষয়ে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাও যেন সেই প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।' 

এসএনসির বেশিরভাগ সদস্য তুরস্ক এবং সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। উভয় রাষ্ট্রই আসাদ সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তাদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই সদস্যরাও এখন আসাদ সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

এদিকে হাজেম নাহার সিরিয়ার জনগণের হয়ে এসএনসির সদস্যদের আলোচনা করার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, ‘সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর জোট সৌদি এবং তুরস্কের খেলার কার্ডে পরিণত হয়েছে। এই জোটের স্বাধীনতার অভাব তাদেরকে সিরিয়ানদের থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। সিরিয়ার জনগণ এটিকে তাদের প্রতিনিধি হিসাবে নয় বরং সৌদি এবং তুরস্কের প্রতিনিধি হিসেবে দেখে।'   

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অনুষ্ঠিত গণতন্ত্রের পক্ষে বিক্ষোভ সমাবেশে ব্যাপক দমন-পীড়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন বাশার আল আসাদ। এর ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। ১২ বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ৫ লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। লাখ লাখ সিরীয় বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন। 

সূত্র: দ্য নিউ আরব 

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.