উত্তেজনা প্রশমনে বেইজিং যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। দুদেশে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এক লম্বা আলোচনার জন্য তার এই সফর। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ১৮ জুন বেইজিংয়ে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রয়টার্সের খবর।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

গত ফেব্রুয়ারিতে ওয়াশিংটনের শীর্ষ কূটনীতিক ব্লিঙ্কেন বেইজিংয়ে একটি পরিকল্পিত সফর বাতিল করেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুনকে কেন্দ্র করে সফরটি বাতিল হয়েছিল। এই সফরটি হবে পাঁচ বছরের মধ্যে কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বেইজিং সফর।

সফরটির ব্যাপারে পুনরায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ্রহ দেখায় ওয়াশিংটন। এর মধ্যেই ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট করে, কিউবার সঙ্গে যোগসাজসে ক্যারিবিয়ানে একটি গুপ্তচর ঘাঁটি নির্মাণ করছে বেইজিং। এ ব্যাপারে দুদেশ একটি গোপন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক ওই রিপোর্ট অস্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা।

হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র রিপোর্টের ব্যাপারে বলেন, রিপোর্টটি সঠিক নয়। কিউবার-চীনের সম্পর্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে এবং বিষয়টি তারা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করছে।

বৃহস্পতিবার হাভানায় কিউবার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস ফার্নান্দেজ ডি কসিও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, কিউবার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের কয়েক দশকের পুরোনো অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য বানোয়াট প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার দাবি, কিউবা লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে সব ধরনের বিদেশি সামরিক উপস্থিতি প্রত্যাখ্যান করে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শুক্রবার জানিয়েছে, গুজব ও অপবাদ ছড়ানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকার গ্রুপের একটি সাধারণ কৌশল।

খবরে বলা হচ্ছে, ওই রিপোর্টটি প্রকাশের পর ওয়াশিংটন-বেইজিং উত্তেজনা বেড়েছে। এ কারণে ওয়াশিংটন চাচ্ছে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে সুসম্পর্ক স্থাপন করতে। ব্লিঙ্কেন তার সফরে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করবেন বলে জানা যাচ্ছে।